গণ-অভ্যুত্থানের পূর্ণ বিজয় এখনো আসেনি : ফরহাদ মজহার
লেখক, কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের পূর্ণ বিজয় এখনো আসেনি। এমন একটা বাংলাদেশ চাই যেখানে ‘সংখ্যালঘু’ বলতে কোনো শব্দ থাকবে না। রাষ্ট্র প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতা, মর্যাদা ও ধর্মচর্চার পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করে ‘সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এই রাষ্ট্র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মাত্র আমরা এনেছি ঠিকই; কিন্তু এটার পূর্ণ বিজয় এখনো আমরা আনতে পারিনি।’ তার মতে, এই রাষ্ট্র আসার সঙ্গে সঙ্গেই একটা সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব হয়ে গেছে। আইনের কথা বলে এই বিপ্লবকে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে জনগণের অধিকার পূর্ণভাবে আসার কথা ছিল, পুরোনো সংবিধান বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, পুরোনো রাষ্ট্রপতি উৎখাত হয়ে যাওয়ার কথা ছিল; সেই রাষ্ট্রপতিকে রেখে দেওয়া হয়েছে, সেই আইন রেখে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে শেখ হাসিনাকে আবার পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সচেতন এবং আপনারাও সচেতন থাকবেন।
আরও পড়ুন
ফরহাদ মজহার বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের একটা উদ্দেশ্য হলো এই দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা। সেগুলোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যারা তৈরি করছেন, তারা দেশের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখছেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, নতুন করে বাংলাদেশকে গঠন করতে হবে, নতুন করে গঠনতন্ত্র করতে হবে। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাইকে নিয়ে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে, যেখানে কোনো সংখ্যালঘু থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, সেখানে আমরা সবাই নাগরিক এবং রাষ্ট্র আমাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবে। গণ-অভ্যুত্থানের পরে সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের নয় সার্বভৌমত্ব জনগণের।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলবার্ট পি কস্তা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মেঘমল্লার বসু, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা প্রমুখ।
এমএ