আসন্ন রমজানে বেশি দামে পণ্য কিনতে চাই না
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই বরং দেশের ১৮ কোটি মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছে। তাই কারো মুখের দিকে না তাকিয়ে নির্ভয়ে চাঁদাবাজিসহ দেশের সব ধরনের অপরাধ প্রবণতা কঠোর হাতে দমন করতে হবে। আমরা আসন্ন রমজানে বেশি দামে পণ্য কিনতে চাই না।
তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজদের প্রতি শূন্য সহনশীলতা প্রদর্শন করতে হবে। অন্যথায় সরকারের সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারের রমনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে হাতিরঝিল পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে সেলাই মেশিন ও শীতবস্ত্র উপহার বিতরণের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মহানগর মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা আমির ইউসুফ আলী মোল্লার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম রাশেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম উদ্দিন বলেন, এক শ্রেণির আত্মকেন্দ্রিক ও মূল্যবোধহীন রাজনীতিকের কারণে আমাদের রাজনীতি গণমুখী চরিত্র হারিয়েছে। তারা জনগণের কাছে ভোট নিয়ে নিজেরাই দেশের মালিক-মোক্তার হয়ে যান। তাই রাজনীতির এই অশুভ বৃত্ত থেকে আমাদেরকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি দেশে দুর্নীতি, অনিয়ম ও লাগামহীন চাঁদাবাজির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, যারা দেশে রাজনীতির নামে চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত তাদের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। কারণ, চাঁদাবাজির চেয়ে ভিক্ষাবৃত্তিই উত্তম।
নেতিবাচক রাজনীতির পরিবর্তে দেশে ইতিবাচক রাজনীতি সূচনা করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতিতে অবক্ষয় এখন প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে প্রচলিত রাজনীতি চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই রাজনীতি থেকে এদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
জামায়াতকে গণমুখী রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমানুষের কল্যাণে জামায়াত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় আমরা অনেক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, দাতব্য প্রতিষ্ঠানসহ অনেক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে কোনো চুরি বা অনিয়মের অভিযোগ নেই বরং আমরা নিজেদের অর্জিত পকেটের টাকা খরচ করেই আর্ত-মানবতার সেবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দলে দলীয় পদ নিয়ে কোনো মারামারি বা হট্টগোল হয় না বরং আমাদের সব কর্মতৎপরতা দেশ ও জাতির জন্য নিবেদিত।
তিনি বলেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, দুনিয়া আমাদের আসল ঠিকানা নয় বরং আখেরাতই আমাদের প্রকৃত গন্তব্য। দুনিয়ার ভালো-মন্দ কাজের ওপর আখেরাতে আমাদের জন্য পুরস্কার বা তিরস্কার হিসাবে জান্নাত-জাহান্নাম নির্ধারিত হবে।
জেইউ/জেডএস