‘কেউ কেউ অর্থের বিনিময়ে আ.লীগকে পুনর্বাসনে কাজ করছে’
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ জুলাই গণহত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ তাদের রাজনীতি করতে দেবে না। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের পর কোনো কোনো নেতা অর্থের বিনিময়ে আ.লীগকে পুনর্বাসনে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, ২০১৮ সালের ঐতিহাসিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল ছাত্র অধিকার পরিষদ। বাংলাদেশে বিরোধী মতের ওপর যখন দমন-পীড়ন চলছিল তখনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছি। সবশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে দলটি। এই বিপ্লবে গণঅধিকার পরিষদ ও অঙ্গসংগঠনের ১২ হন শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে এক হাজারেরও বেশি।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, দলের প্রধান ভিপি নুরুল হক নুর জেল কেটেছেন। আমাকে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে গিয়েছিল র্যাব। দুইদিন গুম ছিলাম, জেল কেটেছি। কোনো কিছু পাওয়ার আশায় জেল খাটিনি, দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলো জুলাই বিপ্লবে একসঙ্গে যারা লড়াই করেছে তাদের ভেতর বিভক্তি দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো গণহত্যাকারীদের স্থান হবে না। জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে আমরা দেখছি দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট করে হত্যা করছে পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে। সন্ত্রাসীদের দ্রুত সময়ের ভেতরে আটক করতে হবে। কিন্তু সরকার দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে বলেছিলেন ৬২৬ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের পরবর্তী অবস্থান সম্পর্কে সেনাপ্রধান কোনো বক্তব্য দেয়নি। আমরা ৬২৬ জনের তালিকা জানতে চাই এবং তারা কে কোথায় আছেন সেটাও জানতে চাই।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম বক্তব্য আসছে, এমনকি প্রধান উপদেষ্টার সবশেষ বক্তব্যেও নির্বাচনের রোডম্যাপের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। নির্বাচনের রোডম্যাপের বিষয়ে সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে।
কিশোরগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ছাত্রজনতার নেতৃত্বে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন সরকার জুনায়েদের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- কিশোরগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিকুল ইসলাম, ভৈরব উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোমেন উদ্দিন জনি, কটিয়াদি উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ আলীউজ্জাম মহসিন, ভৈরব উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের নেতা শামসুল হক মামুন, ভৈরব উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা আবির, আমজাদ, ইমরান প্রমুখ।
এমএন