‘অন্তর্বর্তী সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি’
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ ছিল দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য অন্তর্বর্তী সরকার গত চার মাসে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে পারেনি। তারা আওয়ামী লীগের গড়া সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্য এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভয়েস অব টাইমসের উদ্যোগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পুঁজি করে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের দাবিতে ও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে এক নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু নাসের বলেন, একটা কথা বার বার বলা হয়, ভারত নাকি যুদ্ধের সময় আমাদেরকে সাহায্য করেছে, আমি এ বিষয়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। ভারত তার স্বার্থে বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা করার ভান করেছিল। এর কারণ হলো ভারত তাদের প্রয়োজনে এবং করদ রাজ্য হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে পারবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে তারা নিয়ন্ত্রণ করবে। বাংলাদেশে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে তারা দখল না করলেও বাংলাদেশকে তাদের মতো করে ব্যবহার করতে পারবে। সে কারণেই তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদেরকে সাহায্য করার ভান করেছে।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, ভারত কখনো বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের আচরণ দিয়ে বন্ধুত্বের প্রমাণ রাখতে পারেনি। বাংলাদেশে যতবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় হয়েছে, ততবার ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিনষ্ট করার জন্য অবদান রেখেছে। তাদের পুতুল ছিল শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবকে ক্ষমতায় এনে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হত্যা করেছিল। ২১ বছর পরে আবার শেখ মুজিবের কন্যা খুনি হাসিনাকে পুতুল বানিয়ে বাংলাদেশের মসনদে বসিয়েছিল ভারত।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির এ সদস্য বলেন, খুনি হাসিনাসহ যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব ছিল সরকারের। কিন্তু তারা এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। বাংলাদেশের ২৮ লাখ কোটি টাকা যারা পাচার করেছে, সে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। একটি জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এ সরকারের প্রধান কাজ ছিল। আজ যে বিষয়গুলো রয়েছে, সেগুলো নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
ভয়েস অব টাইমসের সভাপতি মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াত ইসলাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আকন, ভয়েস অব টাইমসের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন।
ওএফএ/এসএসএইচ