মোংলা-চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে ভারতকে দেওয়া অনুমতি বাতিল করতে হবে
ভারতকে দেওয়া মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে ভারতকে যেসব সুবিধা দিয়ে আসছে তা আর কোনো দেশ দেয়নি। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ভারতকে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়। বর্তমান সরকারকে বন্দর ব্যবহারের চুক্তি বাতিল করতে হবে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিএসএফের গুলিতে পঞ্চগড়ে হত্যা ও ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পিত গুজব প্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন
আবু হানিফ বলেন,আজকেও পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ সীমান্তে একজনকে হত্যা করেছে বিএসএফ। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে মানুষ মারছে। ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্র হলেও তারা সবসময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে প্রভুর মতো আচরণ করার চেষ্টা করেছে। তারা যে সময় আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করেছে সে সময় আর নেই। গত ১৫ বছর ভারতকে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে তা অন্য কোনো সময় দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ভারতকে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়। বর্তমান সরকারকে বন্দর ব্যবহারের চুক্তি বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া ভারতের গণমাধ্যম পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। ভারতের এই গুজবের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারকে সোচ্চার হতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজের ছাত্রনেতা ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ভারত আমার দেশের মানুষ হত্যা করবে আমরা চুপ থাকব তা হতে পারে না। ভারতের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা সব ধর্মের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ।
এমজে