বাংলাদেশিরা প্রয়োজন হলে থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া যাবে
ভারতের অবস্থা কাহিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কলকাতায় গিয়ে ডলার খরচ করে কেনাকাটা করে, চিকিৎসা করতে যায় হাসপাতালে। হাসপাতাল আর চলবে না। ভারত মনে করেছে বাংলাদেশের মানুষ অস্থির হয়ে গেছে, না বাংলাদেশের মানুষ আনন্দিত। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশিরা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া যাবে কিংবা অন্য দেশে যাবে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় পণ্য বর্জনের দাবিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন
সাম্প্রদায়িকতার ধোয়া তুলে কট্টর হিন্দুবাদীদের উসকে দিয়ে ভারত উপমহাদেশে তাদের আধিপত্য কায়েম করতে চাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতার ধোয়া তুলে ভারতের বর্তমান সরকার নিজের দেশকে যেমন বিভাজন করছে। তাদের বিদ্বেষপূর্ণ ও হিংসাশ্রয়ীমূলক মনোভাবের কারণে আজকে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ভারতের সঙ্গে নেই। পাকিস্তান তো নেই, বাংলাদেশও আপনাদের সঙ্গে নেই। শুধুমাত্র তাদের অহংকার এবং শোষণের মনোভাবের কারণে এই অবস্থা হয়েছে।
স্বাধীনতার পর থেকে গণতন্ত্রের যে একটি ঐতিহ্য ছিল ভারত এটাকেও ভূলুণ্ঠিত করছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি। ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে এই জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ১৮ থেকে ১৯ কোটি মানুষের এই দেশকে আপনারা চোখ রাঙিয়ে ভয় দেখিয়ে, মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে দাবিয়ে রাখতে পারবেন? পারবেন না। হঠাৎ করে আপনাদের কী হলো যে পার্শ্ববর্তী দেশে নিয়ে ওঠেপড়ে লেগেছেন।
৫ আগস্টের আগে ঘৃণিত একটি সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সেই হাসিনা সরকার ভারতের এত প্রিয় ছিল কেন? কারণ তাদের সাহস ও উসকানিতে শেখ হাসিনা যা ইচ্ছা তাই করে গেছে এই দেশে। শেখ হাসিনার নির্বাচন হয়েছে ভোটারবিহীন। যে ভোটের এক একটা নাম আছে- ভোটার শূন্য ভোট, মিডনাইট ভোট আরও অনেক কিছু।
ভারতের উদ্দেশে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, আপনারা পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ তরকারিতে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারবে না মনে করেছেন। রসুন, আদা, সয়াবিন তেল বন্ধ করে দিলে আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারব না ভেবেছেন, এটা তো আপনারা দুঃস্বপ্ন দেখছেন। আপনারা গরু রপ্তানি পাঁচ-ছয় বছর ধরে বন্ধ করে দিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গরু- ছাগলের খামার গড়ে তুলেছে। এক কোরবানি ঈদেই এক কোটি ২০ লাখ গবাদি পশু জবাই হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাহিদুল কবির প্রমুখ।
এএইচআর/এমজে