ভারতের সাম্প্রতিক কিছু ভূমিকা ছিল উসকানিমূলক : জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশ, এই দেশ আমাদের সবার। আগামীর বাংলাদেশ গঠনে পথে পথে বিভিন্ন অন্তরায় দেখতে পাচ্ছি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ, তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক চাই। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ভূমিকা ছিল অত্যন্ত উসকানিমূলক, অসহিষ্ণু এবং অগ্রহণযোগ্য।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনের রাস্তায় গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিথ্যা তথ্যের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশকে কলুষিত করার জন্য এই সরকার এবং জনগণকে ব্যর্থ করার জন্য তারা সারা দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রয়াস চালাচ্ছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এগুলোর নিন্দা জানিয়েছি। একটি জায়গায় সবাই একমত হয়েছি, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ছাড় নয়। এখানে আমরা একমত থাকব। যেমন অতীতে ছিলাম। ৫ আগস্টেও যেমন ছিলাম।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, সমস্ত অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সরকারের পক্ষ থেকে একটি জাতীয় ঘোষণা আসবে। এক্ষেত্রে যার যা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেব। চরমপন্থা যেদিক থেকেই আসুক আমরা তাকে ঘৃণা করি। প্রশ্রয় দেব না মেনে নেব না। যে রূপ নিয়েই আসুক সব রূপের চরমপন্থাকে ঘৃণা করব, প্রশ্রয় দেব না। এ ব্যাপারে একমত হয়েছি।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট যারা করছে তাদের বুঝানো, তোমরা আমাদের প্রতিবেশী, আমরা ভালো থাকলে তোমরাও ভালো থাকবা। এ বিষয়গুলো এসেছে। জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে। সফলতার দিকে এগিয়ে যাব। চূড়ান্ত সফলতা অর্জন না করা পর্যন্ত আমাদের ঐক্য অটুট এবং মজবুত থাকবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেন, আপাতত বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ভারতে যাওয়া সমীচীন নয়, এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। ভারতীয় নাগরিক সবার প্রতি আমাদের আপত্তি না থাকলেও ইসকন নামে যে সংগঠন আছে, এটা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের কোনো লোক যেন আমাদের দেশে আপাতত আসতে না পারে। দেশে এসেই তারা শান্তিশৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করতে পারে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে। এ জন্য আপাতত সব ভারতীয় নাগরিককে ভিসা না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।
এমএইচএন/এমজে