গঠনমূলক সমালোচনা ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি : শিবির নেতা
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেছেন, যেকোনো ধরনের সমালোচনা আমরা ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি। গঠনমূলক সমালোচনা হলে সেটি আমাদের জন্য উপকারী হবে। গণমাধ্যমে গঠনমূলক সমালোচনা শিবিরের অব্যাহত অগ্রযাত্রাকে আরও বেশি গতিশীল করবে। সেই জায়গা থেকে গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা থেকে আমরা গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) নগরের চন্দনপুরা ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের অফিসে আরইসরা ভবনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে সকল গণমাধ্যম কর্মী বিপ্লবের মূল চেতনাকে ধারণ করে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। চাকরি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়ে নয়, বিবেকের দায়ে কাজ করবেন। সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলার স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারবেন। এই দেশ নানা পথ ও মতের মানুষের। তাই আদর্শিক ভিন্নতা থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রশ্নে কারো ভিন্নমত থাকার কথা নয়। আমরা আমাদের ঐক্যের জায়গাগুলোতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারলে সম্প্রীতির এ দেশ সৌহার্দ্যে-সৌরভে ভরে উঠবে।
আরও পড়ুন
ইসলামী ছাত্রশিবির সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো গ্রুপিং, অন্তঃকোন্দল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হলের সিট বাণিজ্যসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিগত স্বৈরশাসনামলে সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর মনে শিবির সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দিতে কিছু চিহ্নিত তথ্য সন্ত্রাসী মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে তাদের সেই চক্রান্ত অনেকাংশে বুমেরাং হয়। তারপরও ক্রমাগত অপপ্রচারের ফলে অনেকের মনে কিছু নেতিবাচক ধারণা জন্মানো অস্বাভাবিক নয়। তাই দেশের সচেতন নাগরিক ও সম্মানিত মিডিয়া কর্মীদের প্রতি আমাদের আহ্বান অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে শিবির সম্পর্কে জানুন। শিবিরের সম্পর্কে জানতে পড়ুন তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, মুক্তির পয়গাম, এসো আলোর পথে, আমরা কি চাই? কেন চাই? কীভাবে চাই? ইত্যাদি পুস্তিকাসহ সাহিত্যগুলো।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, চট্টগ্রামেও ইতোমধ্যে কয়েক দফা ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বন্দরনগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পতিত স্বৈরাচারের আমলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার পরিবেশ সংস্কারে ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সব ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। ছাত্রশিবির দায়িত্বশীল ছাত্র সংগঠন হিসেবে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে সর্বোত্তমভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে থাকি।
এসময় ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি তানজীর হোসেন জুয়েল, অর্থ সম্পাদক মুমিনুল হক, অফিস সম্পাদক খুররম মুরাদ, প্রকাশনা সম্পাদক আবরার হাসান রিয়াদ ও প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন আকাশ উপস্থিত ছিলেন।
এমআর/এসএসএইচ