জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি ছাত্র ফেডারেশনের
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখতে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। তাছাড়া ভারতের সঙ্গে করা সব অন্যায্য চুক্তি বাতিল করে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘জুলাই গণহত্যার বিচার ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রতিরোধে’ সংহতি যাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড এ দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে রাজু ভাস্কর্য থেকে সংহতি পদযাত্রা শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে কাঁটাবন গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে মশিউর রহমান রিচার্ড বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিবাদে বাংলাদেশের নাগরিকরা প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় ডাক্তাররা ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভক্ত না হয়ে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে একসঙ্গে হলে প্রকৃত বৈষম্য বিরোধী বাংলাদেশ গড়তে পারব। আমাদের সবাইকে এক হয়ে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। ভারতের সঙ্গে সব প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করতে হবে, যত অন্যায্য চুক্তি আছে সব বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দিতে হবে। আরও যাদের সঙ্গে যত অন্যায্য চুক্তি আছে সেগুলো বাতিল করতে হবে।
বিভিন্ন চক্রান্তের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করা হচ্ছে। যে সায়েন্সল্যাবে গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনের অন্যতম হাব ছিল, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সব ছাত্র-জনতা কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়াই করেছে, সেখানেই ছাত্ররা নিজেরা নিজেরা মারামারিতে জড়িয়েছে। আমরা শুরু থেকেই জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়েছিলাম। জাতীয় ঐক্য রক্ষায় এর বিকল্প নেই। সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী আমাদের এই সংহতি যাত্রা চলবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিভিন্ন কলেজে-কলেজে সংঘর্ষ আপনারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। ছাত্রদের মুখোমুখি হওয়ার লেইম যুক্তি আমাদের দেবেন না। মিরপুরে রিকশা চালকদের ওপর হামলার সময় আপনার যুক্তি কোথায় ছিল। আন্দোলনে শুধু শিক্ষার্থীরা না, সবাই ছিল। ছাত্রদের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালেও জনতার বিরুদ্ধে ঠিকই দাঁড়াচ্ছেন।
কেএইচ/জেডএস