‘নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই আসুক, আমরা তাদের সাদরে গ্রহণ করব’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি তারা আগামী ছয় মাসের মধ্যে জাতিকে একটি নির্বাচন উপহার দেবে। সেই নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন আমরা তাদের সাদরে গ্রহণ করব। সেখানে সবার ভোটের অধিকার থাকবে। গণতন্ত্র থাকবে, মানবাধিকার থাকবে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বরিশাল বিভাগ সমিতির উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের ৯ম সেক্টর কমান্ডার, বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) এম এ জলিলের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন
হাফিজ বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে বরিশালে ব্যাপক কর্মকাণ্ড করেছিলেন তিনি। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস কারাবরণ করেন তিনি। তিনি জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। আমৃত্যু সংগ্রামী জীবন তাকে করেছিল প্রতিবাদী। জালিম ও লুটেরা শাসকের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। দেশপ্রেমী হিসেবে তিনি সারা বাংলার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। আর সেটিই তার জীবনে কাল হয়ে গিয়েছিল। এখন সময় এসেছে তাকে মূল্যায়ন করার। ইতিহাসের এক কালজয়ী ব্যক্তিত্ব ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ৯নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল। তাকে মরণোত্তর বীর উত্তম খেতাব ফিরিয়ে দিতে হবে। এটি রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, বরিশাল বিমানবন্দর তার নামে করা উচিত। যারা জীবনে মুক্তিযুদ্ধ করেনি তাদের নামে কি করে ক্যান্টনমেন্ট হয়। বরিশাল বিভাগে তাদের নামে যা কিছু আছে সব কিছু বাতিল করে দিতে হবে। কোনো ব্যক্তির নামে ক্যান্টনমেন্ট হতে পারে না।
সংগঠনের সভাপতি ইকবাল হোসেন ফোরকানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বরিশাল বিভাগ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন রেজা প্রমুখ।
ওএফএ/এসএসএইচ