হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে আহত যুবদল নেতার মৃত্যু
রাজধানীর হাজারীবাগে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে আহত সাবেক যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) মারা গেছেন। তিনি হাজারীবাগ থানার যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ছিলেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে মারা যান তিনি। গত ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগের এনায়েতগঞ্জে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের বড় ভাই মো. সায়েম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছোট ভাইকে ছাত্রদলের ক্যাডার সুমন ও জনিসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ছোট ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।
ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাগনের বন্ধুকে তারা আটকে রেখেছিল। পরে আমার ভাগনে সেখানে গেলে তারা তাকে মারধর করে। কেন তারা আমার ভাগনেকে মারছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আক্রমণ করে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহতের বোন জামাই জামিল উদ্দিন জানান, আমার শ্যালক জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গত ১৫ নভেম্বর এনায়েতগঞ্জ এলাকায় একটি মিলাদ মাহফিল শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সুমন, বিল্লাল, রিপন, মাসুদসহ অন্যরা আমার শ্যালককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে সে মারা যায়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবদলের আহ্বায়ক মো. এনাম বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। সে সবসময় ন্যায়ের পক্ষে ছিল এবং অন্যায় দেখলে সে প্রতিবাদ করত। সে আমাদের সঙ্গে রাজপথের সহযোদ্ধা ছিল। আমরা জাতীয়তাবাদী যুবদলের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগ এলাকায় একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা হয়। এখন নতুন করে কোনো মামলা নেওয়ার দরকার নেই। ওই মামলায় নতুন একটি ধারা ৩০২ যুক্ত হবে।
এসএএ/জেডএস