মওলানা ভাসানী সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন
মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে লংমার্চ সংগঠিত করেছিলেন তিনি। জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যকে সংহত করতে হবে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তারা মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ।
তিনি বলেন, আমরা যখনই কোনো জাতীয় সংকটে পড়েছি আমাদের বারবার ফিরতে হয়েছে ভাসানীর কাছে। ভাসানী আমাদের দিশা দেখিয়েছেন, সামনের বাংলাদেশের ভাসানী আমাদের জন্য দিশা রেখে গেছেন। আমরা এমন পৃথিবীর জন্য লড়ছি যেখানে প্রত্যেক প্রাণের হক আদায় করতে হবে।
আরও পড়ুন
ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন। এ লড়াইয়ে পুরোনো সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া যে আমরা আর একচুলও আগাতে পারব না সে বিষয়ে জনগণের মধ্যে ঐক্যমত্য তৈরি হয়েছে; আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের। আর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যকে সংহত রাখতে হবে, অভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যে যেকোনো বিভাজন মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জেলার সভাপতি ফাতেমা রহমান বিথী, নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, ঢাকা নগর শাখার রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসিন খান, প্রচার সম্পাদক সজল আহমেদ, টাঙ্গাইলে জেলার প্রচার সম্পাদক তৌহিদা স্বপ্নীল প্রমুখ।
এমএইচএন/এসএসএইচ