‘গণহত্যার বিচারের আগে আ.লীগ ও জাপার রাজনীতি জনগণ মেনে নেবে না’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, জনগণ এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ চায়। গণহত্যার বিচার হওয়ার আগে তাদের কোনো রাজনীতি দেশের জনগণ মেনে নেবে না।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিজয়নগরে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কর্তৃক লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও যুদ্ধে মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হাজার হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের মাঝে জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও স্পেশাল ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে রাশেদ খাঁন বলেন, লেবাননে অবস্থানরত দখলদার ইসরায়েলের দ্বারা মানবিক বিপর্যয়ের শিকার প্রবাসীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে প্রবাসীরা ভোটাধিকার পাক। প্রবাসীরা দেশের সম্পদ। তারা কেন ভোট দিতে পারবে না। এছাড়া প্রবাসীদের মরদেহ সরকারি খরচে ফিরিয়ে আনাসহ বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিতে দালাল, এজেন্সির দৌরাত্ম বন্ধ করে সরকারিভাবে পাঠানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের হয়রানি করা যাবে না, তাদেরকে স্যালুট দিতে হবে। গণঅভ্যুত্থান প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাট ডাউন না করলে আ.লীগ সরকারের পতন হতো না। আমি ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ দেব যে, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে আটক হওয়ার ৫৭ জন প্রবাসীকে মুক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশিদের জন্য আল্লাহর রহমত। কিন্তু তার আশেপাশে আওয়ামী সুবিধাভোগীরা ঢুকে গেছে তাকে বিতর্কিত করতে। ৫৬ জেলায় আওয়ামী লীগের তালিকার ডিসি নিয়োগ কীসের ইঙ্গিত? ১/১১ এর কুশীলবরা আবারও সোচ্চার হয়েছে। পুলিশে রদবদলের নামে আওয়ামী পুনর্বাসন চলছে। ৯০ শতাংশ আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী পুলিশ, সচিবালয়-প্রশাসনে এখনো সব আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা বসে আছে। আওয়ামী লীগের সেটাপ দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকতে হবে। সেনাপ্রধান বলেছেন ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন। রাষ্ট্র সংস্কারে আমরা সরকারকে সহযোগিতা ও যৌক্তিক সময় দিতে চাই। সরকারকে কোনো রকম রাষ্ট্র সংস্কারে অসহযোগিতা আমরা মেনে নেব না। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো আগে সম্পন্ন করে, এরপর নির্বাচন। সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে সেটি শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
রাশেদ খাঁন আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। জনগণ এখন তরুণ নেতৃত্ব চায়। আমরা সকল দলকে বলব তরুণদের নমিনেশন দেবেন। জাতীয় সংসদে ন্যূনতম ১৫০ জন তরুণ এমপি থাকতে হবে। তরুণরা শুধু আন্দোলনে থাকবে, জীবন দেবে, বাকিরা ভোগ করবে তা হতে পারে না। তারা দেশের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জনগণ এ মুহূর্তে আ.লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ চায়। গণহত্যার বিচার হওয়ার আগে তাদের কোনো রাজনীতি নয়। ন্যূনতম ৩টা নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এরপর যদি রাজনীতি করতে চায়, গণহত্যার বিচারের পরে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিচারের পর নতুন নামে রাজনীতি করবে। তবে কোনোভাবেই গণহত্যায় জড়িতরা রাজনীতি করতে পারবে না।
মানববন্ধনে প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান সম্পাদক আইয়ুব আল আনসারীর সভাপতিত্বে প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. ইমরানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅভ্যুত্থানে মধ্যপ্রাচ্যে গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসী হাফেজ মুহাম্মদ, প্রবাসী অধিকার পরিষদের মিমজাল, সিহাব উদ্দিন শিহাব প্রমুখ।
ওএফএ/এসকেডি