পার্বত্য জেলার ঘটনায় জাতীয় কনভেনশন আহ্বান চায় বিএনপি
পার্বত্য জেলাগুলোতে উদ্ভূত সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারা মনে করেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার সুদূরপ্রসারী চক্রান্তের অংশ হিসেবে এই ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে এই বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়।
পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি স্থাপনের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, পার্বত্য জেলায় সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের একটি জাতীয় কনভেনশন আহ্বান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
আরও পড়ুন
বিএনপির বলছে, এই ঘটনা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। এই ঘটনাগুলো হালকা করে দেখার কোনও সুযোগ নেই।
বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে বলা হয়, পতিত ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও ‘মবলিংচিং’ এর মতো ঘটনা ঘটিয়ে শিল্পাঞ্চল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করেন, এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগে সব গণমাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার-প্রচারণা বাড়ানো প্রয়োজন। অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি।
‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে’ বলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র বক্তব্য নিয়ে তীব্র নিন্দা জানানো হয় স্থায়ী কমিটির সভা থেকে।
তবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই ধরনের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা এবং বিরত থাকার আহ্বান জানানোর কারণে বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
এএইচআর/এমজে