পার্বত্য এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি জামায়াতের
পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলাওয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রক্তেরে হলি খেলা শুরু হয়েছে। খুনি হাসিনা সরকার ১৫ বছর ধরে ভারতীয় সরকারকে খুশি করে দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেছিল। সেই স্বপ্ন যখন ধুলিসাৎ হয়েছে। তখন বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে কোনও ষড়যন্ত্র করবেন না। সেখানে রক্তের হোলি খেলা করবে না। আর কোনও ভাইয়ের বুকে গুলি চালাবেন না। যদি রক্তের হোলি খেলা বন্ধ না হয় ও যদি আর কোনও ষড়যন্ত্র করা হয় তাহলে দেশের ১৮ কোটি জনতাকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে লং মার্চ করবো।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল পৌনে ৬ টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রুহিয়া থানা শাখার আয়োজনে রুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ও আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও ঐক্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পরও তার যে দোসরা রয়েছে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে রয়েছেন। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছেন আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো এদেরকে খুঁজে বের করে তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে। কয়েক দিন পর হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে সেখানে দুষ্কৃতীরা যেন আমাদের যে সম্প্রীতি রয়েছে সেখানে তারা আঘাত হানতে না পারে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে আগের যে এমপি মন্ত্রী ছিলেন তারা উন্নয়নে কাজ করেনি। রাজধানীর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বিমান বন্দর টি পুনরায় চালু করতে হবে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এখানে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে হবে। আমাদের কৃষি প্রধান এলাকা কৃষকদের জন্য তারা কোন কিছু করেনি তাই আমরা দাবি জানাই এই এলাকায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হোক সেই সাথে কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ জন্য ইপিজেড করা দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ধ্বংস করতে ছেয়েছিল কিন্তু পারেনি। জামায়াতে ইসলামীকে একটি শান্তির সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যে সমাজে কোনও অন্যায়, অবিচার হবে না। ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালিত হলে আর কোনও অন্যায় অবিচার হবে না ইনশাআল্লাহ।
রুহিয়া থানা শাখার আমীর আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরার সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আমীর মাওলানা আব্দুল হাকিম,জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীর, সহকারী জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহমদ, জেলা ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমানসহ থানা শাখার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
আরিফ হাসান/এমএসএ