জামায়াতে ইসলামীর কাছে ক্ষমা চাইলেন আওয়ামী লীগ নেতা
অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ছাতকে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজন জামায়াতে ইসলামীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ নতুনবাজার জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মীর সামনে হাত ধরে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান তারা।
তারা হলেন, উপজেলা আ.লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান এবং গোবিন্দগঞ্জ জনতা ফার্মেসির মালিক মাওলানা আক্তার হোসেন।
জানা যায়, গত বছরের ৫ ফেরুয়ারি শিক্ষানীতি ও বর্তমান পাঠ্যপুস্তকের ভুল সংশোধনী নিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় মসজিদের গোবিন্দগঞ্জ নতুনবাজার মসজিদে খতিব ও গোবিন্দনগর ফজলিয়া সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ট আলেম জামায়াত নেতা আল্লামা আব্দুল সালাম আল মাদানীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবি মামলা করেন আওয়ামী লীগের উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দগঞ্জ নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত দরাছত আলীর ছেলে কাওছার আহমদ। তিনি গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আরও পড়ুন
মামলার আসামি করা হয়েছে ২৮ বছর ধরে গোবিন্দগঞ্জ নতুনবাজার জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করা মাওলানা আব্দুস ছালাম আল মাদানী, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের খুজারপাড়া গ্রামের মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে ব্যবসায়ী মুক্তার আলী, পাঠানের গাঁও গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে মোজাহিদ, ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল মগনী এবং গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বেরাজপুর গ্রামের আমির আলীর ছেলে মতিউর রহমান নামে।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, অতীতে যে ভুল হয়েছে তার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। মামলা প্রত্যাহার করে নেব।
মাওলানা আক্তার হোসেন বলেন, আমি এ মামলায় সাক্ষী ছিলাম। আমি লজ্জিত, মামলা প্রত্যাহার করার জন্য কথা বলব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নতুনবাজার ব্যবসায়ী ও সাবেক মেম্বার লালা মিয়া, ছাতক প্রেস ক্লাবেব সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রনি, শামসুর রহমান, বিএনপির নেতা মানিক, আশরাফ, শামীম আহমদ, আতাউর রহমান মগনি, মুক্তার হোসেন, জুনাইদ আহমদ, মিজানুর রহমান, রেজ্জাদ আহমদ, আহমদ শফি, আব্দুল মগনি, মুক্তার আলী প্রমুখ।
এমএ