ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ-আহতদের তালিকা সংরক্ষণ ও ক্ষতিপূরণ দাবি
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা সংরক্ষণ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এ দাবি জানান।
তারা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার এই ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনের জন্য তাদের অভিনন্দন। এছাড়া এই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের যথাযথ তালিকা সংরক্ষণ ও তাদের পরিবারের পাশে আর্থিক ও মানবিকভাবে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে দাঁড়াতে হবে।
আরও পড়ুন
তারা আরও বলেন, গণসংহতি আন্দোলনসহ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক রূপান্তরের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলে আসছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তা গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। ফলে এই সরকারকে সেই দাবি বাস্তবায়নের গণতান্ত্রিক রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে ন্যায় বিচার এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের সুনির্দিষ্ট পথরেখা তৈরি করে তা বাস্তবায়নের জন্য দেশের অংশীজনদের চিন্তা, প্রস্তাবনা ও যুক্ততা নিশ্চিত করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে তারা আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আশু কাজ হবে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনীকে পূণর্বিনস্ত করা। জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও উসকানি দাতা পলিটিশিয়ান, ব্যুরোক্র্যাট, পার্টি, পুলিশ, র্যাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক রিপোর্ট তৈরি এবং বিচার শুরু করা।
ওএফএ/এমএসএ