পার্থসহ বিএনপির ৩ নেতাকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে, দাবি ফখরুলের
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থসহ বিএনপির ৩ নেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং এবং বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু’র ছেলে (যিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন) সানিয়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে গতকাল রাত ১টায় বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন যাবত বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের অব্যাহত গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এবং অপকৌশল হিসেবে বিএনপি’র নির্দোষ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় নেতাকর্মীদের বাসায় না পেয়ে তাদের সন্তান কিংবা বাসার সদস্যদের গ্রেপ্তার ও অশালীন আচরণসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করা হচ্ছে।
আন্দোলনে ভূমিকা রাখার মিথ্যা অভিযোগে ঢালাওভাবে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর সরকার-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য দোষারোপ করছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, যদি তাই হয়, তাহলে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন? এটাই জনগণের প্রশ্ন। এতে প্রমাণিত হয়, বিএনপি কিংবা বিরোধী দলের কেউই এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়।
তিনি আরও বলেন, শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হতাহত করলো, অথচ সরকারের ইশারায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি শুধুমাত্র ছয় জনের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে। যা সুকৌশলে পুরো হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ারই নামান্তর। জনগণ পুরো ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করে। নয়তো ব্যর্থতার সকল দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত বলে জনগণ মনে করে।
এএইচআর/এমএসএ