আরও কয়েকদিন সিসিইউতেই থাকতে হবে খালেদাকে
করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আরও কয়েকদিন এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
মঙ্গলবার (৪ মে) বিকেলে বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। সেখানে তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা সম্মিলিতভাবে তাকে আরও কয়েকদিন সিসিইউতে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে অংশ নেওয়া এক চিকিৎসক বলেন, এখন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তাকে আরও কয়েকদিন সিসিইউতে থাকতে হবে। তার আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন কিছু ওষুধ যুক্ত করা হয়েছে। এখন তার দুই লিটার অক্সিজেন চলছে।
এই চিকিৎসক আরও বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার শারীরিক রিপোর্টগুলো পর্যালোচনার জন্য বসেছিলাম। তার অবস্থা স্থিতিশীল।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের কোনো সুপারিশ থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক চিকিৎসক বলেন, আমরা চাই অ্যাডভান্স সেন্টারে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হোক। এখন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়াটা তার পরিবার ও সরকারের ওপর নির্ভর করছে।
এদিকে সকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা সবাই নিশ্চয়ই উদ্বিগ্ন হয়েছেন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে। এখনো উদ্বেগের মধ্যে আছেন, দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা কী রকম এ নিয়ে। আপনারা সবাই শুনেছেন যে, গতকাল তার একটু শ্বাসকষ্ট হওয়ায় সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এখনো তিনি সিসিইউতে আছেন। অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। এখন তিনি স্থিতিশীল আছেন।
সোমবার (৩ মে) সকালে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের নন-করোনা ইউনিটের কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গত ১০ এপ্রিল করোনাভাইরাসের নমুনা দিলে ১১ এপ্রিল খালেদার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায়ও খালেদা জিয়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এএইচআর/এফআর/জেএস