প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেছেন। সেখানে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমে অপপ্রচার হয়েছে। বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও মিথ্যাচার করেছেন।
সোমবার (১ জুলাই) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন, বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতের ট্রেন চলবে, এতে আমাদের দেশ নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ভারত নাকি এখান দিয়ে আর্মস নিয়ে যাবে। কিন্তু সমঝোতা স্মারকে এমন কিছুই নেই। বরং আর্মসসহ এ জাতীয় কিছুই পরিবহন করা যাবে না উল্লেখ আছে। এ নিয়ে একটা কল্পিত ঝুঁকির ভয় দেখানো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, ভারত শুধু আমাদের ওপর নিয়ে ট্রেন নিয়ে যাবে না বরং আমরাও ভারতের ওপর দিয়ে ট্রেন নিয়ে নেপাল, ভুটান যাব। এসব অর্জনকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটাকে তো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বলে না।
তিনি বলেন, এই সমঝোতা স্মারকে বলা আছে, নেপাল ও ভুটান থেকে বাংলাদেশের ট্রেন ও তাদের ট্রেন ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এসে মোংলা কিংবা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে। তারা এখন কলকাতা বন্দর ব্যবহার করে। অর্থাৎ আমাদের বন্দরগুলোকে আমরা লাভজনক করব।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এই সমঝোতা স্মারকে একটা বিশাল অর্জন আছে। আপনারা দেখবেন নেপাল থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ভারতের যে গ্রিড লাইন, সেই গ্রিডের ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট আমদানি করব। যখন আমাদের শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকবে, অতিরিক্ত উৎপাদন করব আমরা তখন রপ্তানিও করতে পারব।
তিনি বলেন, এখন কি বলবেন ভারতের বুক চিরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনবে এবং বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে? এখানে তো পুরোটাই আমরা লাভবান হবো। সেজন্য এই সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো একেবারে উল্লেখ না করে এটি যে দুই দেশের জন্য লাভজনক সেটি উল্লেখ না করে খণ্ডিতভাবে তারা অপপ্রচারের স্বার্থে মিথ্যাচার করছে। তারা গোঁড়ামি চুক্তি ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বলছে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মির্জা ফখরুলসহ অনেকে বলছেন, এর ফলে নাকি আমাদের দেশ নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। কীভাবে? ভারতের ট্রেন যে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে যাবে সেখানে নাকি আর্মি এবং মিলিটারি সামরিক অস্ত্র নিয়ে যেতে পারে। তাতে জিও পলিটিক্যাল ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে। অথচ এই সমঝোতা স্মারকের তিন নম্বরে গুডস উইদাউট রেড ট্রাফিক পরিষ্কারভাবে বলা আছে। সেখানে সংজ্ঞা দেওয়া আছে ডেঞ্জারাস এবং অফেন্সিভ গুডস, ইনক্লুডিং আর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস অর্থাৎ এগুলো নেওয়া যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে রিজিওনাল কানেকটিভিটির মাধ্যমে। গোটা বিশ্ব কানেকটিভিটির মধ্যে আসছে। আমরা কিন্তু এটা এককভাবে ভারতকে দিইনি। সেটিকে তারা (বিএনপি) বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। এটা কীভাবে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হলো? মূলত বিএনপির চিন্তাই হলো নতজানু।
এমএম/পিএইচ