খালেদার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপির নীরবতা
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড— এমন একটি খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে স্বনামে মন্তব্য করতে রাজি হননি মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ও বিএনপির নেতারা।
এ নিয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজে এম জাহিদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনিও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিএনপির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কথা বলার এখতিয়ার দলের নেতাদের নেই। এ বিষয়ে কথা বলবেন চিকিৎসকরা। আর দলের পক্ষে থেকে কথা বলতে চাইলে একমাত্র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলতে পারেন। তাই দলের অন্য নেতারা চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকেন।
আরও পড়ুন
রোববার (২৩ জুন) বিকেল ৪টার দিকে বিএনপির একজন চিকিৎসক নেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) অবস্থা খুব বেশি ভালো না। গত দুই দিনে ম্যাডামের সঙ্গে চিকিৎসকরা ছাড়া দলের কোনও নেতা দেখা করতে পারেননি। সাধারণত আগে দলের মহাসচিব ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারতেন। এবার তিনিও ম্যাডামকে দেখতে পারেননি।
তিনি বলেন, এতে বোঝা যাচ্ছে যে, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। যার ফলে, মেডিকেল বোর্ড চিকিৎসার বিষয়ে নানা রকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের জানানো হচ্ছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিএনপির আরেক চিকিৎসক নেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুরের দিকে বিএনপির একজন নেতা ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে ম্যাডামের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছেন— ম্যাডামের হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন প্রক্রিয়া এবং কবে বসানো হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু চিকিৎসকরা এই নেতাকে জানাননি।
এর আগে, গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনির বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
এএইচআর/কেএ