দেশের অর্থনীতির কোমর ভেঙে ফেলা হয়েছে : রিজভী
ব্যাপক বেকারত্ব, চরম মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভের ভয়াবহ পতন, ডলার সংকট, বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ এবং ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাওয়া, জ্বালানি নিশ্চয়তা ছাড়া একের পর এক ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ, হাজার হাজার কোটি টাকার ভর্তুকির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির কোমর ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ব্যক্তিগত আয় ও জীবনযাত্রার মান দিন দিন প্রকট হচ্ছে। দেশে আর্থিক খাত এখন সবচেয়ে বিপর্যস্ত ও নিরাপত্তাহীন। নৈতিকতাহীন, অপচয়, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যাংক খাত এখন খাদের কিনারে। ভয়াবহ আর্থিক খাতের দুরবস্থা থেকে মানুষের চোখ সরানোর জন্য সরকার এখন নানা তামাশা ও চক্রান্তের আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন
এবারের ঈদে মানুষ নিরানন্দে দিন কাটিয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গরুর হাটে কেনাকাটা ছিল কম। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খামারিরা গরু বিক্রি করতে না পেরে চরম দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, কারণ মানুষের হাতে টাকা নেই। তাই দখলদার সরকার জোর করে টিকে থাকার জন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বেচতে শুরু করেছে।
ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড ভারতের সামরিক ও বেসামরিক পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রেললাইন নেটওয়ার্ক তৈরি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের ‘ইন্টেলিজেন্স’ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। দেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নতজানু সরকার যদি এই রেললাইন নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন করে তাতে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বকে ক্রমাগতভাবে মিলিয়ে দেওয়া হবে।
রিজভী দাবি করেন, মানুষের মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতা আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন অভিমত প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে ধারাগুলো বাতিলের দাবি জানিয়েছিল, সেই ধারাগুলোই সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালায় মতপ্রকাশ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার হরণমূলক ধারা সংযোজিত হবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির সিনিয়র এ নেতা। তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়িত হলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ চূড়ান্ত রূপ ধারণ করবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কফিনে ঢুকানোর পর এটাই হবে সর্বশেষ পেরেক।
এএইচআর/এসএসএইচ