খালেদা জিয়া কৃষকের ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলেছিল
বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে শুধু জনগণের ভোট চুরি না, কৃষকের ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (শনিবার) সকালে গণভবনে কৃষক লীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ২০২৪ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে কৃষির ওপর। আমাদের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর পরই তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কৃষিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ফলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। যখন তিনি এই ঘুনেধরা সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ গড়ার পদক্ষেপ নেন এবং বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে আত্মমর্যাদাশীল করে গড়ে তোলার বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা দেন। আমাদের দুর্ভাগ্য সেই সময় জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা শুধু মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে তা নয়, এ দেশের গণতান্ত্রিক ধারাটাকেই নষ্ট করেছিল। আজ ভোটের অধিকারের কথা বলে... আমার খুব হাসি পায় যখন দেখি বিএনপি ভোটের কথা উচ্চারণ করে, নির্বাচনের কথা বলে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ভোটের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তার সেই হ্যাঁ/ না ভোট দিয়ে যাত্রা শুরু। অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দল গঠন করে তাকে জিতিয়ে আনার জন্য ভোট চুরির একটা প্রক্রিয়া এ দেশে শুরু করেছিল। জিয়াউর রহমানের পরে তারই পদ অনুসরণ করেই ক্ষমতা আসে এরশাদ। এ দেশের কৃষক শ্রমিকরা সব সময় অবহেলিতই থেকে যায়।
ভোট চুরি করে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে একটা প্রহসনের নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে। মাত্র ২২ পার্সেন্ট ভোট পড়েছিল সেখানে। অধিকাংশ সরাসরি নির্বাচনে, কোনো প্রতিপক্ষ ছিল না। জনগণের ভোট চুরি করলে কেউ কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণ এই ব্যপারে খুব সচেতন।
এমএসআই/এনএফ