মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে
বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
তিনি বলেন, মানুষের যাতে কষ্ট না বাড়ে, দ্রব্যমূল্য হ্রাসের বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এই বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়। পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেট শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ মন্তব্য করেন।
প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার এই বাজেট। আমাদের দেশের উন্নয়নের গতিধারা ঠিক রেখে উচ্চবিলাসী থেকে সংযমের পথে আগাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, দরিদ্র মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য সব কিছু বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ এবং ফ্যামিলি কার্ড অব্যাহত রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যের জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে মানুষ বিনা চিকিৎসায় কষ্ট না পায়।
প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাজেটে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন বিষয়টি সামনে রাখা হয়েছে। মানুষের উপর করের বোঝা যাতে না চাপে এবং দেশের অর্থনৈতিক মূল্যস্ফীতি নামিয়ে নিয়ে আসার জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার দুর্নীতি জিরো টলারেন্স, অর্থনীতি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা প্রয়োজন সব বিষয় বাজেটে উল্লেখ আছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
এমএসআই/এমএসএ