সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারা নিজেরাই চাপে আছে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা আমাদেরকে চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে আছে। কারণ আরব বসন্তের ছোঁয়া আটলান্টিকের ওপারেও লেগেছে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া আইনের ফাঁদে আটকা। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মামলা করেনি। বিএনপির নেতাকর্মীরা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতেও ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ব্যাপক উদযাপনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পালন করব। আগামী ১৭ মে আমাদের নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সারা দেশে কর্মসূচি পালন করব।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে আন্দোলনের নামে সারা দেশে যে ভয় সৃষ্টি করেছে, জনগণ তাদের পাশে নেই। বিএনপি ঝিমিয়ে পড়েছে। কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে।
আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র কীভাবে মোকাবিলা করবে— এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমাদের সুসংগঠিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৪ দলীয় জোটকেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাছে টানতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনে অনেকেই দলের নির্দেশনা মানেনি, তাদের বিষয়ে দল কী ব্যবস্থা নিবে— এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এর মধ্যে প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। আমাদের কয়েকজন আগেই প্রত্যাহার করেছেন। আমাদের গোলাম দস্তগীরের ছেলে প্রত্যাহার করেছেন। আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার স্বজনও একজন উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্নটা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কি না? আমি তার পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছি কি না, সেটাই সেটাই দেখার বিষয়। পার্টির কারো এর সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারো এর সঙ্গে কোনো সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না।
স্বজন বলতে প্রধানমন্ত্রীর যে সংজ্ঞা সে বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার কথা হচ্ছে, ভাই হউক, স্বজন হউক আমি তাকে দাড় করিয়েছি কি না? আমি তার পক্ষে সমর্থন দিচ্ছি কি না? আমার দল সমর্থন দিচ্ছে কি না, সেটা হচ্ছে বড় কথা। আমি বা আমার দল যদি পক্ষে না থাকে তাহলে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বিষয়ে জড়িত নেই।
বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক। আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় গ্রেপ্তার ও বন্দি হয়েছেন। বরং শেখ হাসিনার উদারতার জন্য শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকা ও চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করায় সহযোগিতা করেছে।
দেশি-বিদেশি চাপ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি ছিল, নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিল। এগুলো তো প্রকাশ্যেই দেওয়া হয়েছিল। এখানে কোনো গোপনীয়তার বিষয় ছিল বলে আমার জানা নেই। এখানে তো কোনো সিক্রেট বিষয় ছিল না। এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএসআই/এমজে