সব জিনিসের দাম বাড়লেও কমেছে শ্রমিকের দাম : সাইফুল হক
বাংলাদেশে সব জিনিসের দাম বাড়লেও শ্রমিকের দাম কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেছেন, ভোটের ব্যবস্থা নষ্ট হওয়ায় শ্রমিকরা আরও ক্ষমতাহীন ও গরিব হয়েছে, সমাজে তাদের দাম ও মর্যাদা কমেছে। অস্বাভাবিক গরমে শ্রমিকরা সবচেয়ে কষ্টে আছে। দুর্যোগকালীন অবস্থা মোকাবিলায় প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করুন।
বুধবার (১ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, দেশে সব জিনিসের দাম বাড়লেও কেবল কমেছে শ্রমিকের দাম, তাদের শ্রমশক্তির দাম। ভোটের ব্যবস্থা না থাকায় রাজনৈতিক দলের কাছে শ্রমিকদের গুরুত্ব কমেছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল শ্রমিকদের ব্যবহার করে কিন্তু তাদের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেয় না। সরকার ও মালিকরা শ্রমিকদের কেবল উৎপাদন বাড়াতে বলে কিন্তু তাদের মানবিক দাবিগুলো নিশ্চিত করে না।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, এই দাবদাহে সবচেয়ে কষ্টে আছে শ্রমিকরা। অস্বাভাবিক গরমে শ্রমিকদের কাজ ও আয় দুটোই কমে গেছে। অসংখ্য শ্রমিক পরিবারের জীবনে দুর্যোগ নেমে এসেছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় শ্রমিক পরিবার পিছু আগামী তিন মাস নগদ ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, জীবনযাত্রার অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দেশের শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষকে আজ চরম দুঃসহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। শ্রমিকদের প্রকৃত আয় কমে গেছে। শ্রমিক পরিবারগুলোর খাদ্যগ্রহণ কমে গেছে। ট্রেড ইউনিয়নসহ তাদের গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিত নয়। বিদ্যমান শ্রম আইনও শ্রমিকদের অনুকূলে নয়। শ্রমিকদের বাঁচার ন্যায্য আন্দোলনকে মালিকরা ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রচার করে।
বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী, বিপ্লবী পাদুকা শ্রমিক সংহতির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক সংহতি কবি জামাল সিকদার, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি সালাউদ্দিন আহমেদ, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির নেতা নুরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান রুবেল, নান্টু দাস প্রমুখ।
আলোচনা সভার পরে বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির মে দিবসের বর্ণাঢ্য র্যালি সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর ও তোপখানা রোড প্রদক্ষিণ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
এমএইচএন/এসএসএইচ