সরকারের সব উন্নয়ন অগ্রগতি শ্রমিকদের মাধ্যমেই হচ্ছে : হানিফ
সরকারের সকল উন্নয়ন অগ্রগতি শ্রমিকদের মাধ্যমেই হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
বুধবার (১ মে) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রমিক লীগ আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
হানিফ বলেন, শ্রমিক কর্মচারী একটি জাতির মেরুদণ্ড। তাদের হাত দিয়েই সরকারের মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অফিসে বসে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে কিন্তু তা বাস্তবায়ন করে আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা। সরকারের সকল উন্নয়ন অগ্রগতি শ্রমিকদের মাধ্যমেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেটাও সম্ভব হয়েছিল শ্রমিক ভাইদের জন্য। শ্রমিক মালিক বৈষম্য নিরসনের জন্য কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠন করেছিলেন। দুর্ভাগ্য আমাদের, জাতির পিতার সে লক্ষ্য পূরণ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
আজকের দিনে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি করছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের কারণে তাদের চলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে হওয়া বৈশ্বিক সংকটে আমরা কিছুটা হলেও আক্রান্ত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী দক্ষতার সঙ্গে সেই সংকট কাটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও কিছু মোনাফা লোভী অসাধু উপায়ে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে।
হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন কাজ করে যাচ্ছেন। সকলেই তার সুবিধা পাচ্ছেন। অতীতে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা শ্রমিকদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিল। তারা শ্রমিকদের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করেছেন তা কিন্তু নেই। এই দেশে শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য বঙ্গবন্ধু কাজ করেছেন। তারপরে তারই কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, দেশের যে উন্নয়ন, অগ্রগতি তা আমাদের তরুণদের অনেকেই খুব একটা মূল্যায়ন করে না। আজকে যার ২৫ বছর বয়স, বিএনপির আমলে সে ছোট্ট শিশু ছিল, তার তখন বুঝার বয়স ছিল না। সারা দেশে যে উন্নয়নের জোয়ার দেখছি সে তরুণের কাছে মনে হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সে তরুণ জানে না, বিএনপি জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশ কতটা অন্ধকারে ছিল।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেনসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগসহ অন্যান্য ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এমএসআই/এসকেডি