শেষটা দেখতে বললেন ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, নিকটাত্মীয় ও স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা থাকলেও সে নির্দেশনা তেমনভাবে মানা হচ্ছে না। তবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনে করছেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার এখনও সময় আছে। যে কোনো সময় প্রত্যাহার করতে পারে।
দলীয় এ নির্দেশনা না মানায় দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের শেষটা দেখার পরামর্শ দিয়ে বলেন, দলের নির্দেশ অমান্য হলে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমন কথা কিন্তু আমি বলেছি।
কাউকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ বাধ্য করতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনটা করলে প্রশংসা করবেন? আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ আছে সবসময় একটা উল্টা প্রশ্ন করতে অভ্যস্ত। আমাদের কৌশল নিয়ে আপনার কথা বলার দরকার নেই।
শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু নির্বাচনে তো অন্য কোনো বিরোধী দল অংশ নেয়নি, শুধু আওয়ামী লীগই আছে। তারপরও সংঘাতের শঙ্কা প্রকাশ কীভাবে দেখেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংঘাতের আশঙ্কা হয়তো করতে পারেন। সংঘাত যেন না হয় আমাদের দায়িত্ব আছে, আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে ৬৭ জন অংশ নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে। এই বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখানে সমর্থনও করছি না, বিরোধিতাও করছি না। বিএনপির ব্যাপার বিএনপি দেখবে।
বাংলাদেশের মানবাধিকারে কোনো উন্নতি হয়নি— যুক্তরাষ্ট্রের এমন রিপোর্টের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, গাজায় ইসরায়েল যা করছে সেটা মানবাধিকারের কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে? ১৪ হাজার শিশু, ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং প্রতিদিনই হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতির কথা বলেও শোনাতে পারেননি। তারা কারও কথা শোনে না। আবার আমরা দেখছি, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের উসকানিতে সাহায্য করছে। এই গণহত্যার ব্যাপারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে নিকৃষ্টতম নমুনা এই ব্যাপারে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক।
আরও পড়ুন
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক নেত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে সেই নেত্রীর কাছ থেকে দপ্তর সম্পাদক ১০ লাখ টাকা চেয়েছেন, এই বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এইটার সত্যতা কী? ফোন রেকর্ড আছে এমন জবাবে তিনি বলেন, তাহলে দিন, আমরা ব্যবস্থা নেবো।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে নেমে আসা, এটা কি আন্দোলনের উত্তাল হওয়ার লক্ষণ?
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এমএসআই/এনএফ