‘বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চাওয়াই একটা রাজনীতি’
বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চাওয়াই একটা রাজনীতি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
তিনি বলেন, একসময় বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনা যেত না, জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিত না। তারাই আজকে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছে। ধর্মকে পুঁজি করে তারা রাজনীতি করতে চাচ্ছে। বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চাওয়াটাই একটা রাজনীতি।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন
সমাবেশে ঢাবি ছাত্রলীগ সম্পাদক বলেন, যদি কোনো অপরাধী নিজ দলের হয় তারও বিচার করেছেন দেশনেত্রী। দেশের ইতিহাসে এমন কোনো নজির নেই যে নিজ দলের কাউকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। অথচ আজ আবরারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি দল রাজনীতি করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে তারা তাদের আবেগকে পূঁজি করে রাজনীতি করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী কাজে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে যাচ্ছে। এরা দেশ বিরোধী শক্তি।
ঢাবি ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো শিক্ষার্থীর প্রবেশের অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি ইঞ্চিতে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান বলা লিগ্যাল৷ এটাতে কেউ বাধা দিলে আমরা জীবন বিলিয়ে দেব, বাধা দেওয়া সেই হাতকে গুঁড়িয়ে দেব।
এসময় তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবিলম্বে বুয়েটে কমিটি ঘোষণা করতে এবং নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি পুনরায় সূচনা করার আহ্বান জানান।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
আরও পড়ুন
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন।
এসময় নেতাকর্মীদের ‘মৌলবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘শিবিরের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জায়ামাত-শিবির-রাজাকার, তাড়াতাড়ি বাংলা ছাড়’, ‘শিবিরে আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে উপস্থিত হন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম (বাপ্পি), সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
কেএইচ/এমএসএ