বিএনপির এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই : শেখ সেলিম
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এরা জঙ্গী-সন্ত্রাসী, স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী। তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তারা সংবিধানকে তোয়াক্কা করে না। যারা সংবিধান, নির্বাচন মানে না তারা আবার কী রাজনীতি করবে?
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ সেলিম এ কথা বলেন।
শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রের শত্রু, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের শত্রু। বিএনপি-জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করছি।
আরও পড়ুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আপনিই এটা পারবেন। বিএনপি-জামাতসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের নিষিদ্ধ করলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।
শেখ সেলিম বলেন, বাংলাদেশ ও দেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশে কোনও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যেন রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য এ দাবি করছি। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য-কারীদের সন্ধানে কমিশন গঠনের প্রস্তাব করে শেখ সেলিম বলেন, কারা এর পেছনে জড়িত ছিল তা বেরিয়ে আসবে।
দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিশ্বের বড় সন্ত্রাসী দাউস ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করে। উন্নয়নের অব্যাহত ধারা বন্ধ করতে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে অগ্রসর হন তখন অতি বিপ্লবী, প্রতিবিপ্লবী, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত ছিল।
তিনি আরও বলেন, জিয়া ছিলো আইএসআই-এর এজেন্ট। জিয়ার জন্ম পাকিস্তানে। তার পড়াশুনাও পাকিস্তানে। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চলাকালে আইএসআই এর এজেন্ট হিসেবে জিয়াকে বাংলাদেশ পোস্টিং দেওয়া হয়।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের জন্য বিএনপি-জামাত একের পর এক নাশকতা শুরু করে। লন্ডনে বসে তারেক জিয়া অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ তার জবাব দিয়েছে।
এসআর/এমএসএ