মূর্খ নেতার পক্ষে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় : মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, মিয়ানমার সমস্যা একটা জটিল সমস্যা। কোনো মূর্খ নেতার পক্ষে সেটা সমাধান করা সম্ভব না। যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা দেশে ঢুকছিল তখন শেখ হাসিনার ছোট বোন তাকে বলেছিলেন, তুমি ১৭ কোটি লোককে খাওয়াতে পারো, আর ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারবে না? এরকম অর্বাচীনতা বিশ্বের কোনো রাজনীতির মধ্যে নেই। এখন সেই মিয়ানমারের লোকজনই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত অরক্ষিত সীমান্ত, ধর্ষিত বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার শীর্ষক উন্মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাকি বলেছেন ‘যারা বিরোধী দল, আন্দোলন করার চেষ্টা করছে, তাদের খেসারত দিতে হবে।’ আমি জানতে চাই, সেই খেসারতটা কী? নির্দোষ একজন নারী, তাকে ১০ বছর ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আপনারা মানুষের সংজ্ঞায় পড়েন কি না, তা নিয়ে আমাদের দ্বিধা রয়েছে।
কোনো একভাবে বাংলাদেশে এটা প্রতিষ্ঠিত যে, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিল। কোনো একভাবে বলার কারণ হলো, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় লোকজন কোনো আন্দোলন করেননি। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যখন সোচ্চার হয়ে উঠেছিল, সেসময় তার নেতৃত্বে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন
ওবায়দুল কাদেরকে বলতে চাই, এই ১৫ বছরে যতো অন্যায় অপরাধ করেছেন তার সবকিছুর জবাব দিতে হবে। তারা (আওয়ামী লীগ) খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১০ থেকে ২০টা করে মামলা দিয়েছে। আমরা যদি ক্ষমতায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে থাকি, তা একটি ডিকশনারি সমান হয়ে যাবে। সবার দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অপরাধে মামলা হবে। দেশের ১৭ কোটি মানুষ ইতোমধ্যে রায় দিয়েছে যে, তারা নির্বাচিত নয়।
বাংলাদেশে সবচাইতে বেশি টাকা বিনিয়োগ করেছে আমেরিকা। কিন্তু তারাও বলেছে এই নির্বাচন সুষ্ঠু নয়। কিন্তু টাকা পায় বলে সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছে। তার মানে এই না যে, এটা স্বীকৃতি প্রদান। ইউরোপের কোনো দেশ কিন্তু স্বীকৃতি দেয়নি। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন, যেখানে বলেছেন যে, ইংল্যান্ডে অনেক বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করে,তাদের ফেরত নিয়ে যান। অথচ এই চিঠির খবর কোথাও ছাপানো হয়নি।
ওএফএ/এমএ