‘নারীর শ্লীলতাহানির জন্য ছাত্রলীগকে অবাধ করে দিয়েছে সরকার’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে কুৎসিত সংগঠনে পরিণত করেছে অবৈধ সরকার। ছাত্রলীগের জন্য এ সরকার নারীর শ্লীলতাহানিকে অবাধ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া পরিষদের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দেশের মধ্যে ইন্টারনাল নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি করেছেন। তার নাম ছাত্রলীগ। তাদের অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে যে, তোমরা যা ইচ্ছা তাই করো কিন্তু বিএনপি যুবদল ছাত্রদলের মিছিল দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে। বেআইনি অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করবে এই লাইসেন্স তাদের দেওয়া হয়েছে।
অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে ভয় পায় আওয়ামী লীগ বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, কিন্তু ছাত্রলীগ নারী নির্যাতন করলে শেখ হাসিনা কোনো কথা বলেন না। শেখ হাসিনা নারীর শ্লীলতাহানিকে অবাধ করে দিয়েছেন ছাত্রলীগের জন্য। ২০২০ সালে সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়েছে, তার কোনো বিচার হয়নি। কারণ কোর্ট তাদের, পুলিশ তাদের। তাদের বিচার হবে কেন?
আরও পড়ুন
রিজভী বলেন, বিচার হয় গণতন্ত্রের কথা বললে, মিছিল বের করলে, তাদের ধরে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তারা আজ জেলে, কারণ তারা বক্তৃতায় গণতন্ত্রের কথা বলেছিল।
তিনি আরও বলেন, যুবলীগ ছাত্রলীগ ক্যাসিনো খুলবে, সুন্দরী নারীদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করবে। গত রোববার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তারপরও কি প্রধানমন্ত্রী আপনার টনক নড়েনি? আপনি ছাত্রলীগকে এক কুৎসিত সংগঠনে পরিণত করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুস, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার প্রমুখ।
এএইচআর/এসকেডি