বিরোধী দল ও দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেট আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ
বিরোধী দল ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সিন্ডিকেটকে বর্তমান সরকারের প্রতিপক্ষ মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের প্রতিপক্ষ সিন্ডিকেট নাকি বিরোধী দল– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুইটা দুই ধরনের বিষয়। বিরোধী দলের ব্যাপারটা হলো রাজনৈতিক, আর এখানে অর্থনৈতিক। দুইটা তো দুই ধরনের সংকট। এখানে বিরোধীদল সহিংসতা করবে, সংঘাত করবে, আগুন সন্ত্রাস করবে– সেটা এক ধরনের বিষয়। সেটা যেমন আমাদের প্রতিপক্ষ, দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে সেটাও আমাদের এক ধরনের প্রতিপক্ষ। দুই প্রতিপক্ষকেই মোকাবিলা করতে হবে।
১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, তিনি (বাদশা) নির্বাচনে জেতেননি তো... জিতলে বোধ হয় এ কথা বলতেন না।
টিআইবি বলছে এশিয়ার মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ চার নম্বরে আছে– এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, টিআইবি তো বিএনপির দালাল, বিএনপি যা বলে টিআইবিও তা বলে।
আরও পড়ুন
টিআই’র দুর্নীতির ধারণা সূচকে নিচের দিক থেকে দুই ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে। এর মানে তো দুর্নীতি বেড়েছে– এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট আছে। বিশ্বজুড়ে ক্ষমতার যে দ্বন্দ্ব সেখানে অবস্থানগতভাবে কোনো কোনো জোট বা দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের পাহারাদার এসব প্রতিষ্ঠান। ওখানে কারো স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এসব কমেন্ট করা হয়। এসব অপবাদ দেওয়া হয়। এটা অতীতেও দেওয়া হয়েছে। আমরা এগুলোর পরোয়া করি না। আমরা আমাদের কাজ জনস্বার্থে করে যাচ্ছি। দুর্নীতি, করাপশন ইজ ওয়ে অব লাইফ অ্যাক্রোস দ্য ওয়ার্ল্ড নাও। এটা বাংলাদেশের ব্যাপার নয়, সারা বিশ্বেই আছে কমবেশি। কিন্তু যেভাবে অপবাদটা বাংলাদেশ নিয়ে দেওয়া হয়, এটা মোটেও সত্য নয়।
মন্ত্রিসভার কলেবর বড় হচ্ছে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বাড়তে পারে একটু। কারণ এখানে রিজার্ভ সিটগুলো, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত যে আসন সে আসনে নির্বাচন শেষ হলে সেখান থেকেও যুক্ত হতে পারে। এর সঙ্গে প্রাইম মিনিস্টার যদি আরও ইচ্ছা করেন তিনি যুক্ত করতে পারেন।
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এমএসআই/এসএসএইচ