‘বাংলাদশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিদেশিদের সদিচ্ছার অভাব নেই’
সরকার ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করে অভিশাপ ডেকে এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড মঈন খান।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নাগরিক সমাজের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ (বিপিআরসি)।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদের বাংলাদশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। আজকের নতুন যে রূপের ধারা, এই ধারার মাধ্যমে সরকারকে চলে যেতে হবে। দেশের মানুষ বুঝতে পেরে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ভোট দিতে যায়নি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ যদি একটু সুযোগ পায়, এই ঢাকায় ১০, ২০ লাখ মানুষের উপস্থিতি দেখা যাবে। সেদিন এই সরকারকে লাল কার্ড দেখাবে দেশের মানুষ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড দিলারা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের যে সংকট এটি কিন্তু নজিরবিহীন। এটির চিন্তা করলে আমি হয়রান হয়ে যাই। এই সংকট থেকে আমরা উঠব কী করে।
বর্তমান শিক্ষা কারিকুলামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে চায় কেউ। এ দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি ভর এসেছে, আপনাদের চিন্তার কোনো প্রতিফলন হয় না। এটাই বাস্তবতা।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে ডামি নির্বাচন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচন আমাদের এতটা সংকটে ফেলেছে, তা নজিরবিহীন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয় হয়েছে।
এই সংকট মুহূর্তে দেশের বিরোধীদলগুলো এখনো এক প্ল্যাটফর্মে আসতে পারেনি, তারা এখনও আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে এটা সুখকর নয় উল্লেখ করে দিলারা চৌধুরী বলেন, বৃহৎ শক্তির আধিপত্যের লড়াইয়ের বাংলাদেশ পড়ে গেছে। এই সংকট থেকে মুক্ত হতে হলে আমাদের আন্দোলন করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব ও পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান প্রমুখ।
ওএফএ/এসকেডি