৭ জানুয়ারি ভোট নয়, আ.লীগের কাউন্সিল হবে : ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এটি আওয়ামী লীগের অধীনে একতরফা নির্বাচন। ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করার নির্বাচন। ওইদিন নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী মাজার ও শেরশাহ এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনে বায়েজিদ থানা কৃষক দলের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিন-চারজন দলীয় লোকের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে এমপি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ঠিক যেমনটা করে দলের কাউন্সিল করে জেলা ও উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এটা কোনো ভোট নয়। ভোট দিয়ে এই অবৈধ সরকারের ক্ষমতা নবায়নে সহযোগিতা করবেন না। এই নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। তাই ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল বর্জন করুন।
তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয়। সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগ। বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে মানুষ পুড়িয়ে মারে আওয়ামী লীগের লোকেরা। কয়েকদিন আগে ভোলায় বোমা বানাতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী মারা গেছে। বরিশালে শেখ হাসিনার জনসভায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে একজন মারা গেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল বোমাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। আর দায় চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। আসলে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে নির্মূল করে চিরদিন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চান। কিন্তু জনগণ তা হতে দেবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বায়েজিদ থানা কৃষক দলের সভাপতি আমির হোসেন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন।
এদিন, নগরের বিআরটিসি এবং স্টেশন রোড এলাকায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ সময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি আরেকটি আসন ভাগাভাগির নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া মানুষ এখন গ্রেপ্তারের ভয়ে পলাতক। শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিদিন বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দেওয়া তালিকানুযায়ী বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে। এভাবে মাফিয়া সরকার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের নামে এই খেলা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বানচাল করা হবে।
এমআর/কেএ