ভোট বর্জনকারীরা দেশ থেকে বিলীন হয়ে গেছে : নানক
ভোট বর্জনকারীরা দেশ থেকে বিলীন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে নারী উদ্যোক্তা ও দলীয় নারী সংগঠন প্রধানদের সঙ্গে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি নামে একটি সংগঠন এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে নানক বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে যেসব বড় রাজনৈতিক দল যারা ছিল, তাদের মধ্যে যারা ভোট বর্জনের এবং ভোট প্রতিরোধের রাজনীতি করেছে... তারা দেশে থেকে নিঃশেষ ও বিলীন হয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। এ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি- জামায়াত অপশক্তি দেশের বিভিন্ন স্থানে গুপ্ত হামলা ও গুপ্ত হত্যা করছে। আমরা পরিষ্কারভাবে এ অপশক্তিকে বলতে চাই যে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেই। জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন একটি উৎসবে পরিণত হবে। এ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে দৃষ্টান্ত আছে যে, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে বড় রাজনৈতিক দল যারা ছিল, তাদের মধ্যে যারা ভোট বর্জন এবং ভোট প্রতিরোধের রাজনীতি করেছে... তারা দেশে থেকে নিঃশেষ ও বিলীন হয়ে গিয়েছে। দেশের বর্তমান উন্নয়ন এবং অগ্রগতি বিএনপি ও জামায়াতের অন্তরজ্বালা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
ঢাকা-১৩ আসনের এই নৌকার প্রার্থী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এটি গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন। এ নির্বাচন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন। এ নির্বাচন অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা রক্ষার নির্বাচন। এ নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নির্বাচন।’
‘আপনারা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে - দেশের গণতন্ত্র রক্ষার্থে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন। আসন্ন ৭ই জানুয়ারি সারাদেশে যে ভোট উৎসব শুরু হয়েছে এই উৎসবে অংশ নেবেন আপনারাও। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এসব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবেন আপনারা।’
দেশের নারীদের উদ্দেশে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘মনে রাখতে হবে- এই বাংলাদেশ কোথায় ছিল। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন কোথায় আছে। বাংলাদেশ এক সময় অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। এ দেশে একজন নারী ভবিষ্যতের স্বপ্নও দেখতে পারত না। কিন্তু এখন এবার যারা প্রথম ভোটার, তারা বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে। কারণ আমাদের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। তিনি স্বপ্নকে সফল করার একজন প্রত্যয়ী নেত্রী ও রাষ্ট্রনায়ক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী সমাজ আজকে এগিয়ে গেছে। আজকে নারী সমাজ শুধু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা নয়... বড় বড় শিল্প উদ্যোক্তাও হয়েছেন।’
‘আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে দেশকে অন্ধকারে ফিরিয়ে নেওয়ার। এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নারীদের আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।’
নানক বলেন, ‘আমি এমন একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পরে নিজেকে অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। দেশের নারী উদ্যোক্তারা আত্মপ্রত্যয়ী। আমি সকল নারী উদ্যোক্তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’
অনুষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলেন। এছাড়া সেখানে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শাহীন আক্তার সাথী। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলু ও নারী কাউন্সিলর রোকসানা আলমসহ অনেকে।
এমএসআই/কেএ