নববর্ষের অনুষ্ঠান বর্জন করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতির আহ্বান
ইংরেজি নতুন বছরের সব অনুষ্ঠান বর্জন করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী ঐক্য জোট।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোট কর্তৃক আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলটির চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী এ আহ্বান জানান।
বক্তব্যে মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে দেশবাসীর মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী সরকার বিরোধীরা নির্বাচন নিয়ে নানান কল্পকাহিনী ছড়াচ্ছে। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্বাচন বানচালের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচনকালীন সময়ে আমাদের দেশে যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় সে পরিবেশ এখন নেই। নির্বাচন কমিশনকে নিয়েও মানুষের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। প্রার্থীরা অনবরত আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন তাদেরকে কোনো অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামীলীগের নির্বাচন আয়োজনে হয়তো ভোট কেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি বাড়বে, তবে এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলে চালিয়ে দেওয়া গেলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক নির্বাচন বলা যাবে কি না, তা ভবিষ্যৎ বলে দেবে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, বিরোধী দলের জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্যর্থ আন্দোলন করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনসহ ৩টি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। বিএনপি-এর অভিজ্ঞ নেতারা ভালো করে জানেন, সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও তাদের সৃষ্ট অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের মোসাদ এজেন্টরা যে দেশে অতিরিক্ত তৎপর হয় সে দেশের সর্বনাশ না করা পর্যন্ত তারা চক্রান্ত থামায় না। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের মতো তারা বাংলাদেশে একটি আজ্ঞাবহ সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা ভালো করে জানে, শেখ হাসিনা মাথা নিচু করবেন না। যে কারণে তারা তাদের স্বভাব অনুযায়ী গণতন্ত্র, মানবতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে, অন্যদিকে আজ্ঞাবহ একটি সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গোপন চক্রান্ত করে আসছে। গাজার দিকে লক্ষ্য করলেই তাদের মানবতা ও গণতন্ত্রের সবক সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে যে কোনো সরকার কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জীবনের একটি বড় অংশ গণতন্ত্র, সুষ্ঠ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, মানবতা ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন। তবে সংসদে শক্তিশালী বিরোধীদলের অভাবে গণতন্ত্র দুর্বল হয়েছে। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা না থাকায় সরকারকে খুশি রাখার জন্য ইতোমধ্যে বহু খারাপ নজির সৃষ্টি হয়েছে।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব মনিরুজ্জামান রব্বানী, সাংগঠনিক সচিব মোশারফ হোসেন মাহমুদ, যুব বিষয়ক সচিব আমজাদ হোসেন খোকন, দপ্তর সচিব মোশারফ হোসেন বাবু প্রমুখ।
ওএফএ/এমএসএ