সভা-সমাবেশ বন্ধে ইসির চিঠিতে এবি পার্টির ক্ষোভ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ না করার নির্দেশনা এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের চিঠির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
এবি পার্টির নেতারা বলছেন, নির্বাচনী প্রহসনের আগেই বাকশাল কায়েম করতে চায় নির্বাচন কমিশন। রাজধানীতে আয়োজিত ‘প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভ’ কর্মসূচি থেকে এসব কথা বলেন দলের নেতারা।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, আজ আওয়ামী লীগ তার দলীয় লোক এবং কিছু দালাল দিয়ে নির্বাচনকে একটি পাতানো পুতুল খেলায় পরিণত করেছে। এই পুতুল খেলায় এ দেশের জনগণ অংশ নেবে না।
পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, দলবাজ ইসি সরকারি দলের তাবেদারি করতে করতে লজ্জা শরম হারিয়ে এখন সভা-সমাবেশ বন্ধের চিঠি দিয়েছে। মনে হচ্ছে তিনি জনরোষের ভয়ে ভীত, তার আর তর সইছে না। তিনি নির্বাচন নামক প্রহসনের আগেই বাকশাল কায়েম করে ফেলতে চান।
সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশবাসী দেখতে পাচ্ছে নির্বাচন নামের প্রহসনে কী হচ্ছে! এই নির্বাচন মূলত লুটেরা আওয়ামী লীগ ও তার ক্রয়কৃত কতিপয় দালালের মধ্যকার নির্বাচন। এই নির্বাচন নামক নাটকের জন্য রাষ্ট্রের বিপুল অর্থের অপচয় কেন? এই প্রশ্ন তুলে তিনি আওয়ামী লীগ বনাম দালালদের নির্বাচন বর্জন করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান।
যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জাতি জানলো যে আরব লীগ, ফিলিস্তিন, উগান্ডাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক আনবার পায়তারা করছে এই অনির্বাচিত সরকার। যাদের নিজের স্বাধীন দেশ নেই, যাদের দেশে নির্বাচন হয় না যুগের পর যুগ, তারা আসবে আমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে। আরব লীগের কোনো দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নেই, গণতন্ত্র নেই, তাদের দেশ থেকে পর্যবেক্ষক আসাটা হাস্যকর। কম্বোডিয়া, বার্মা, বেলারুশ, রাশিয়া আর চীন থেকে ভয়া পর্যবেক্ষক আনার চেষ্টা জনগণের করের টাকার অপচয় মাত্র।
কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানার সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন— যুবপার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান, যুবপার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, যুবনেতা মাসুদ জমাদ্দার রানা, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, যুবনেত্রী সুলতানা রাজিয়া, শাহীনুর আক্তার শীলা ও কেন্দ্রীয় সদস্য আমানুল্লাহ সরকার রাসেল।
জেইউ/এনএফ