আচরণবিধি ভঙ্গের দায় স্বীকার করে যা বললেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ভবিষ্যতে এমন কাজ করা থেকে দূরে থাকারও অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা শোকজের দেওয়া জবাবে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। গাজীপুর-২ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাজমুন নাহারের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
রোববার (০৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসিকে দেওয়া জবাবে প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, যেহেতু আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের স্বেচ্ছা প্রণোদিত উপস্থিতির কারণে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে, তাই চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি একজন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ এর বিধি বিধানগুলো প্রতিপালন করে নির্বাচন পরিচালনা করব এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না মর্মে অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।
আরও পড়ুন
প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, আমি প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের পূর্বে সভা সমাবেশ, শোডাউন, মিছিল মাইকিং করে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছি, যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৬(ঘ), ৮(ক), ১০(ক) ও ১২ নং ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে।
আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গাজীপুর-২ আসনে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, সেহেতু আমার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পূর্বে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যা জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অতঃপর আমার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীকে সঙ্গে নিয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আমার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বের হয়ে আসার পর রাস্তায় আমার শতশত নেতা-কর্মী, সমর্থকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করি এবং তাদের উদ্দেশ্যে আমি দুই চারটি কথা বলি। এর ফলে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় বটে। তবে এই সমস্ত নেতাকর্মী বা সমর্থকদের আমি এখানে আসার বা জমায়েত হওয়ার জন্য কোনো প্রকার আমন্ত্রণ জানাইনি। স্বেচ্ছা প্রণোদিত ও আবেগের বশবর্তী হয়ে তারা এসেছিল। যার ফলে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয় বটে।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন থাকায় জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের এমনিতেই ব্যাপক উপস্থিতি দৃশ্যমান ছিল। এতে করেও ওই দিন জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। আমি বিগত ৪টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-২ আসন হতে পরপর ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি এবং বর্তমানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।
ওএফএ/এসকেডি