৩৯টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৩৯টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, আমরা রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ দীর্ঘদিন ধরে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছি। এজন্য আমরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেপ্তারকৃত সকল রাজবন্দিদের মুক্তি এবং বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সরকার ব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কারের দাবিতে যুগপৎ ধারায় এক আন্দোলনে আছি। এই দাবিগুলো ইতোমধ্যে গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। গণদাবির এই আন্দোলনে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরিকল্পিত সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটিয়ে সরকার ও সরকারি দল গত ২৮ অক্টোবর বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহের মহাসমাবেশ পণ্ডু করে দেয়।
আরও পড়ুন
তারা বলেন, বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর এর দায় চাপিয়ে গত এক মাস ধরে দমন নিপীড়ন ও গ্রেপ্তারের পথে দেশব্যাপী তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সরকারের পদত্যাগের গণদাবিকে উপেক্ষা করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি একতরফা নীলনকশার নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে।
সরকারের এই রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সরকারের সহযোগী হিসেবে নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। পাতানো এই নির্বাচনের অংশ হিসেবে আজ কথিত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখও নির্ধারণ করেছে। জনগণের ভোটের গণতান্ত্রিক অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এ নির্বাচনের তফসিলকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
আমরা অনতিবিলম্বে ৭ জানুয়ারি ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা অবাধ, নিরপেক্ষ,অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান,বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুতফর রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট এড. হাসনাত কাইয়ূম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএইচআর/এসকেডি