তফসিল স্থগিত রাখতে সিইসিকে স্মারকলিপি অনিবন্ধিত লেবার পার্টির
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে স্মারকলিপি দিয়েছে অনিবন্ধিত লেবার পার্টি। রাজনৈতিক সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত তফসিল স্থগিত রাখতে বলেছে লেবার পার্টি।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে দলটির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি দেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মো. রুম্মান সিকদার, প্রচার সম্পাদক মো. মনির হোসেন খান, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. নাসির তালুকদার ও মো. হেলাল উদ্দিন।
স্মারকলিপিতে দলটি জানায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতি সন্নিকটে। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় দেখা যায় যে, সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার মতো পরিবেশ বর্তমানে না থাকার কারণে রাজনৈতিক সংঘাত ও অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় নির্বাচন হলে সেটা হবে অগ্রহণযোগ্য, একপেশে, প্রশ্নবিদ্ধ ও বিরোধপূর্ণ নির্বাচন। যা সংবিধান পরিপন্থি। তাই একটি সুষ্ঠু, সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা একান্ত আবশ্যক।
দলটি জানায়, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এর একক ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। সেহেতু সব দলের অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ লেবার পার্টি অনুরোধ করে।
দলটির দেওয়া ৬টি প্রস্তাব হলো
১. স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করা।
২. রাজনৈতিক সব দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
৩. রাজনৈতিক দল সমূহের শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য দলীয় কার্যালয়গুলো ব্যবহারের সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা।
৪. নিরপেক্ষ ও সর্বজনগ্রাহ্য ব্যক্তির তত্বাবধানে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনার ব্যবস্থা করা।
৫. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অযাচিত হস্তক্ষেপ, দমন, পীড়ন ও নির্বিচারে গণগ্রেফতার বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৬. নির্বাচনকালীন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে অবৈধ অর্থ, অস্ত্র ও পেশিশক্তির প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ রোধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এসআর/এসএম