শ্রমিকদের পরিশ্রমের টাকায় রাষ্ট্র চলছে : রাশেদ খান
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের (নুর) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, গাজীপুর এবং মিরপুরে পুলিশ গুলি চালিয়ে ৩ জন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। সেই শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে এবং শ্রমিকরা যে ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবি করেছে তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমরা আজ সমাবেশ করছি।
তিনি বলেন, আমি পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শ্রমিকদের মজুরি ১২ হাজার টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তোমরা গার্মেন্টসে যাও। তার কথাগুলো শুনে মনে হলো তিনি শ্রমিকদের হুমকি দিচ্ছেন। শ্রমিকদের পরিশ্রমের টাকায় রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। অথচ এই দেশে শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত, নিপীড়িত, অবহেলিত।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক অধিকার পরিষদের আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকের শিল্প ইউনিটে যে পুলিশ রয়েছে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা যাদের বুকে গুলি গুলি চালিয়েছেন তারা কারা? তারা এ বাংলাদেশের সন্তান, বাংলাদেশের মানুষ। আপনারা নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করে দেখুন আপনারা ঠিক করেছেন কিনা। আমি শ্রমিকের সন্তান হিসেবে এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।
রাশেদ খান বলেন, দেশে প্রত্যেকটা নিত্যপণ্যের দাম একের পর এক বেড়েছে। ১২ হাজার টাকা দিয়ে ঘর ভাড়াই হয় না, তাহলে তারা খাবে কী? সন্তানদের স্কুলে পড়াবে কীভাবে? আমরা যারা শ্রমিক তাদের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য ঋণ করা লাগছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তারা যে পরিমাণ আয় করে তা দিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রীকে বলব, শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকা করে একটি ভালো কাজ করুন।
শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, এ দেশে সবচেয়ে বেশি যেখানে অরাজকতা হয়েছে সেটি হচ্ছে আর্থিক খাত। এই দেশে ব্যাংক লুটের সঙ্গে যে রাঘব বোয়ালরা জড়িত তাদের ঠেকানোর জন্য কী কোনো পুলিশের ইউনিট ছিল? দেশে ব্যাংক লুট ঠেকানোর জন্য কোনো পুলিশ নেই। কিন্তু এই দেশে শ্রমিকদের মারার, শ্রমিকদের ঠেকানোর জন্য পুলিশের বিশেষ ইউনিট রয়েছে। যেটা হচ্ছে পুলিশের শিল্প ইউনিট। আমি বলতে চাই, সত্যিকার অর্থে যদি আপনারা শিল্পকে রক্ষা করার জন্য যদি এই ইউনিট করে থাকেন তাহলে শ্রমিকদের রক্ষা করাও আপনাদের দায়িত্ব।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ, শ্রমিক নেতা রুবেল, হারুন অর রশিদ, শ্রমিক নেতা খালেদ সরওয়ার, গণঅধিকার পরিষদের গাজীপুর জেলার সদস্য সচিব মোবারক হোসেন সরকার, আবু হানিফ প্রমুখ।
ওএফএ/এসকেডি