তৃতীয় দফার অবরোধে রাজধানীতে জামায়াতের পিকেটিং-বিক্ষোভ
তৃতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়কে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং, বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে জামায়াতে ইসলামী।
সরকারের পদত্যাগ, আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাদের মুক্তি ও কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তৃতীয় দফায় ৮ ও ৯ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকে জামায়াতে ইসলামী।
প্রথম দিনে সড়ক, নৌ এবং রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর রমনায় সড়ক অবরোধ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী। অবরোধ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য শাহীন আহমদ খান, মুতাসিম বিল্লাহ, মুহাম্মদ নুরুদ্দিন, ইমাম হোসেনসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন
সেখানে সংক্ষিপ্ত পথসভায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, অবৈধ সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অবরোধ চলবে। সংগ্রামী দেশবাসীকে বলতে চাই, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের এই অবরোধ চলছে। এই আওয়ামী লীগ ভোট চোরের বিরুদ্ধে জামায়াতের অবরোধ। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, না হলে আমাদের এই অবরোধ আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার তাদের অপশাসন ও দুঃশাসনে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকারকে হরণ করেছে। রাতের ভোটে ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। তারা দেশকে একটি বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
বাবুবাজার-নয়াবাজার এলাকায় জামায়াতের অবরোধ
তৃতীয় দফায় ডাকা অবরোধের প্রথম দিন সকালে বাবুবাজার-নয়াবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা আবু আনাস আব্দুল্লাহ, মাওলানা এম এ আজাদ, আবু আব্দুল্লাহ, নুর ইসলাম, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্ব শাখার সেক্রেটারি মোজাফফরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সেখানে দেলাওয়ার হোসেন বলেন, এই সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে মানুষ ভোট দিতে পারেনি, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতেই হয়ে যাওয়ায় মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাই এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন মানুষ দেখতে চায় না। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে মানুষ ভোট দিতে পারবে না। তাই অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। আমির জামায়াতে ডা. শফিকুর রহমানসহ সব জামায়াত নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে হবে। না হলে হরতাল, অবরোধের চেয়েও কঠিন কর্মসূচি দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক অবরোধ
অন্যদিকে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইনের নেতৃত্বে যাত্রাবাড়ী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে জামায়াত নেতাকর্মীরা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা সাদেক বিল্লাহ, বোরহান উদ্দিন, রাশেদ মাহমুদ, মতিউর রহমান, মহিউদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ডেমরায় মহাসড়ক অবরোধ
সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ডেমরায় মহাসড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের নেতৃত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, মির্জা হেলালসহ, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা দেলোয়ার ও জসিম উদদীনসহ অন্য নেতারা।
বাসাবো বিশ্বরোড অবরোধ
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামসুর রহমানের নেতৃত্বে রাজধানীর বাসাবো বিশ্বরোড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে জামায়াত। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আবু নাবিল, আব্দুল্লাহ আল আমিন, মতিউর রহমান, অ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দিন, মো. শাহজাহান, আসিফ আদনান, ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরীর পূর্ব শাখার এইচআরডি ও পাঠাগার সম্পাদক তাজুল ইসলাম ফয়সাল, বিজ্ঞান সম্পাদক হাসিব আহমেদসহ জামায়াত ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামী।
জেইউ/জেডএস