সরকারের পতন-গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
বিএনপির ডাকা যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষিত দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে ১২ দলীয় জোট। মিছিল থেকে সরকারের ভয়াবহ দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও বিশ্ববিবেককে জাগ্রত ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান জোটের নেতারা।
রোববার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাবের বিপরীতে বিএমএ ভবনের সামনে থেকে এ মিছিলটি শুরু হয়।
জোটের নেতারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে উঠেছে। পায়ের নিচে মাটি সরে যাওয়া গণবিচ্ছিন্ন সরকারের শেষ অবলম্বন রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে বিরোধী দলকে জেলে ভরছে। সারাদেশের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজপথ থেকে হটিয়ে দিয়ে আবারও ২০১৪ সালের মতো একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে।
নেতারা আরও বলেন, ২০১৪ আর ২০২৪ সাল এক নয়। নিরস্ত্র বিরোধী দলকে রাজপথে রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে সাময়িকভাবে বিজয়ী হওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও এই উচ্ছ্বাস অচিরেই ফ্যাকাশে হয়ে যাবে। জাতিসংঘ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব আরেকটা হিটলার সাদ্দাম ও গাদ্দাফীর উত্থানকে মেনে নেবে না।
২৮ অক্টোবর সরকারের হাতে আরেকবার গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটেছে দাবি করে ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, হাসিনা সরকারের পতন ও গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবো।
সব বিরোধী দলীয় নেতাকে মুক্তি দিয়ে সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান ১২ দলীয় জোট। নেতারা বলেন, গণতন্ত্রের লেবাছ পরে যুদ্ধতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী সরকার দেশে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি সূচনা করছে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে এর পরিণতি তাদের জন্য ভয়াবহ ভবিষ্যৎ ডেকে আনবে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে ভুল করলে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২দলীয় জোটের সমন্বায়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নোয়াব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।
এএইচআর/এসএম