‘বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার সহিংসতা করছে’

২৮ অক্টোবর বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
বিজ্ঞাপন
তারা বলেন, এখন বিরোধীদলের ওপর দোষ চাপিয়ে নেতাকর্মীদের মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে আন্দোলন দমন করতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে অবরোধের তৃতীয় দিনে পুরানা পল্টন থেকে মিছিল শুরু করে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি হয়ে পুনরায় পল্টন, জাতীয় প্রেস ক্লাব ঘুরে পল্টনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বক্তরা আরও বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দৌড়ের ওপর রেখে বিরোধী দল ছাড়া আবারও একটা এক তরফা, তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ। শুধু বিরোধী দল ই নয়, এবার মানুষ ও একাট্টা। জনগণ এবার আরেকটা তামাশার নির্বাচন হতে দেবে না।
সরকারের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়ে মঞ্চের নেতারা বলেন, অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে, জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা করুন। তা না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার চলমান আন্দোলনে পুলিশ, সাংবাদিক, শ্রমিকসহ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশব্যাপী দোয়া ও প্রার্থনার ঘোষণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি আগামী ৫-৬ নভেম্বর, রবি এবং সোমবার (৪৮ ঘণ্টা) সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এবং নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।
এএইচআর/এসকেডি