হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে জামায়াতে মিছিল
সারা দেশে ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। হরতালের সমর্থনে তারা রাজধানীর খিলগাঁও, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, ভাটারা, গুলশান, তুরাগ, বিমানবন্দর, পল্লবী, রূপনগর, মোহাম্মদপুর, উত্তরাসহ বিভিন্নস্থানে মিছিল করেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের নেতাকর্মীরা।
রোববার (২৯ অক্টোবর) ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে রাজধানীর জুরাইন রেলগেটে মিছিল ও পিকেটিং করে শ্যামপুর থানা জামায়াতে ইসলামী।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, কবির হোসেন, হেলাল উদ্দিন, আসাদুল্লাহ গালিব, কামরুল আহসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার উপস্থিতিতে পিকেটিং করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে খিলগাঁও থানা এলাকায় সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হরতালের সমর্থনে কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু ফাহিমের নেতৃত্বে পিকেটিং করে জামায়াতে ইসলামী।
ডেমরায় কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য মোহাম্মদ আলী, মির্জা হেলাল, জামায়াত নেতা মোজাফফর হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার তমিজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইনের নেতৃত্বে যাত্রবাড়ী থানা এলাকায় মিছিল করে জামায়াত।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, এতো বাঁধা বিপত্তির পরেও জামায়াতে ইসলামী গতকাল এক ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন করেছে। আমরা ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধাদান ও মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার হওয়া সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি করছি।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আর কাল বিলম্ব করবেন না। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন। অবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিন, দেশে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথ তৈরি করুন।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা রক্ত দেবো, জীবন দেব তবুও এদেশকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবো না। তিনি বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলারও নিন্দা জানান।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরও বলেন, দীর্ঘ পনের বছরে আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের কবলে পড়ে বাংলাদেশের জনগণ এক দুর্যোগপূর্ণ ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আওয়ামী সরকার অপরাধ করতে করতে আজ এমন অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে, এখন নিজেরা বাঁচার জন্য দেশের ১৮ কোটি মানুষকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
জেইউ/এসএম