ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের দোহাই দিয়ে লুটপাট করা হয়েছে : জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পর সিটি করপোরেশন যথাযথ কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। যেসব কীটনাশক নিয়ে এসেছে সেগুলোও কাজে লাগেনি। বরং এসবের মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি কর্তৃক ‘দুই মেয়রের পদত্যাগ ও দ্রব্যমূল্যের দাম জনগণের নাগালের মধ্যে আনার দাবি’তে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রতিদিন কেউ না কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। জুন-জুলাই থেকে এর ব্যাপক প্রকোপ শুরু হয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার বা সিটি কর্পোরেশন সত্যিকার উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। ২০১৯ সাল থেকে দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, অথচ ডেঙ্গু মশার লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সে বিষয়ে তেমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তেমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ ৪০ ভাগ কমে যেত। অথচ পাশের দেশ ভারত এমন উদ্যোগ অনেক আগেই গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, একদিক দিয়ে ডেঙ্গুতে মানুষ মরে, অন্যদিক দিয়ে বাজারে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস উঠে। সিন্ডিকেটের ফলে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এ সিন্ডিকেট সমস্ত বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এসব নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই। সরকারের চিন্তা হলো কীভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসা যায়।
সাকি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে যদি ভালো থাকতে হয়, তাহলে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। আর সে লড়াই হবে সরকার হটানোর লড়াই। একটি জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। ৮০ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে, অথচ সে অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে দরকার পড়ে স্যালাইনের, অথচ এই স্যালাইন নিয়ে ব্যবসা করা হয়েছে। সংকট দেখিয়ে পুঁজি করা হয়েছে। হাসপাতালের প্রয়োজন নেই কিন্তু ডাক্তাররা রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে।
ওএফএ/এসকেডি