সরকারের প্রতি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমর্থন নেই : ১২ দলীয় জোট
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বসহ কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমর্থন নেই বলে দাবি করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
তারা বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে আসন্ন নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর থেকে শুরু হয়ে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলের শুরুতে বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
জোট নেতারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্রকে হিমঘরে পাঠায়। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাই ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, অথচ একদলীয় বাকশাল গঠন করে আওয়ামী লীগ সেই চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
গত ১৫ বছর ধরে আবারও অঘোষিতভাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করে বিএনপি এ জোট সঙ্গীরা বলেন, গত দুটি সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও যদি আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ চালানোর সুযোগ পায়, তাহলে দেশে পুরোপুরি বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। দেশে গণতন্ত্র চিরদিনের জন্য বিদায় নেবে।
তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাবেন না বলে দম্ভোক্তি করেছিলেন, কিন্তু যখন দেখলেন পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে তখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একদিনের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে সপ্তাহ পার করে দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই, এতে কোনো লাভ হবে না, বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে, শেখ হাসিনা আপনি এবারের খেলা বন্ধ করুন। জনগণের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে সম্মানজনকভাবে বিদায়ের উপায় বের করুন। আপনার সময় শেষ। আপনি বিনাভোটের নির্বাচনে আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ ইবরাহীম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।
এএইচআর/এসকেডি