খালেদা জিয়াকে যারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন তাদের বিচার হবে
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, খালেদা জিয়াকে আজ যারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ)।
জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) চান বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক। তিনি বলেন, এ সরকার মানুষকে কথা দিয়েছিল ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবে, মানুষ দরজা খুলে ঘুমাবে। একটি কথাও শেখ হাসিনা রক্ষা করতে পারেননি। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে এর জবাব চাই। জবাব আজ হোক, কাল হোক আপনাকে দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে আজ যারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিনা ভোটের মেয়র বলে মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে দেবে না। এই তাপস, তোমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করার সৌভাগ্য হয়েছে। কথাবার্তা বলতে একটু মুখটা সাবধান করে বলো। মির্জা ফখরুল তো লক্ষ জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন। ঠেকাতে পেরেছেন আপনি (মেয়র তাপস)? মুখে কথা বলে নিজের দুর্বলতাই প্রকাশ করছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের উদ্দেশে ফারুক আরও বলেন, বুড়িগঙ্গায় এমন মাছের জন্ম হয়েছে যে মাছ আগে মশা খেত, সেই মাছ এখন মানুষ খাচ্ছে। বুড়িগঙ্গার এই মাছ আপনি সরাতে পারেন না, ডেঙ্গু সরাতে পারেন না, আপনার সরকার মানুষকে ডিম খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে না, আপনার মুখে এসব কথা কি শোভা পায়?
বিএনপির এ নেতা বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও লেখা নেই স্বৈরাচার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে। ভোট চোরের মুখে এখন শক্তি বেশি। এই শক্তি তখনই শেষ হয়ে যাবে, যখন প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী জনগণের পক্ষে কথা বলা শুরু করবে। কারণ দিন বেশি নেই।
ষড়যন্ত্র করে ‘ছিন্নমূল বিএনপি’ তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ঘরে রেখে অনেকে ছেড়ে গিয়েছিল। বড় বড় নেতারা দল করেছিল। টিকতে পারেনি, চুরমার হয়ে গেছে, রেল লাইনে অপমানিত হয়েছে। কোথায় তারা আজ? টিকে আছে শুধু খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলের মতো নেতারা। তাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র আসবে। সময় বেশি নেই। গণতন্ত্র আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) দিতে হবে। ভোট আপনাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দিতে হবে।
জিসফের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের পরিচালনায় প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
/ওএফএ/এসএসএইচ/