আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল নয় : জয়নুল আবদিন ফারুক
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক। তিনি বলেন, আপনারা যদি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক হন তাহলে সাত জন বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে হিসাব দেন আপনাদের কয়জন আছে। ১১ জন সেক্টর কমান্ডারের মধ্যে আপনাদের কয়জন আছে। ৬৮ জন বীর উত্তমের মধ্যে আপনাদের কয়জন আছে। ৩০ লাখ লোক যে মারা গেছে, তাদের মধ্যে আপনাদের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা আছে কি না, তাদের নাম দেন। আমি বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনারকে উদ্দেশ করে জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে কীভাবে একটি পরিবারের দ্বন্দ্বে এবং মারামারির ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন ও দাঁত পড়ে গেছে, তাদের দেখতে যান। আমাদের তো বহু নেতাকর্মীকে পিটিয়ে রাজপথে পা ভেঙে দিয়েছেন, কোমর ভেঙে দিয়েছেন, মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন। বহু নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, কই তাদের তো ডিএমপির পক্ষ থেকে একটিবারও কেউ দেখতে যাননি। ট্যাক্স আমরাও দিই, আমরা এই দেশের স্বাধীনতার যোদ্ধা। এটাই কি তাহলে গণতন্ত্রের নমুনা।
তিনি বলেন, সময় আর বেশি দূরে নেই। সংকট সৃষ্টি করেছেন আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছেন আপনি। দেশে স্বৈরতন্ত্র সৃষ্টি করেছেন আপনি। বেশি লুটপাটের অধিকার আপনি দিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করেছেন আপনি। সাইবার আইন পাস করেছেন আপনি। অতএব আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে দিতে হবে। আর বিএনপির এক দফা দাবি আপনাকে মানতেই হবে। এর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা আপনার হাতে নেই। যতই তালবাহানা করেন, বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করবেন, এত সহজ নয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষজনের আমাদের এ আন্দোলনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন আছে এবং থাকবে। তাই আপনারা সময় থাকতে পদত্যাগ করুন।
জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, সরকারের কাছে একটা জবাব চাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি বলেছিলেন– বাংলাদেশে কেয়ামতের আগ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে। কিন্তু সেই কথা আপনি আজ আর মানছেন না। প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছিলেন– দেশের লুটেরাদের বিরুদ্ধে আপনার বাবা সংগ্রাম করেছেন, আপনিও সংগ্রাম করবেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন, কিন্তু সেটিও আপনি ভুলে গেছেন। পত্রিকায় দেখতে পেলাম, ২৫২ জন পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তার আমেরিকায় বাড়ি আছে। এর মধ্যে কয়েকজন সম্মানিত ওসি সাহেবও আছেন। একজন ডিআইজি সাহেব নাকি তিন কোটি টাকা দিয়ে তিন হাজার স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট কেনেন, তাহলে এটা কি লুট নয়। এটা কি সন্ত্রাসী কায়দায় লুটের টাকা ভাগ করা নয়। তাহলে আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এগুলোকে মেনে নিচ্ছেন কেন তা আমি জানি না।
অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী নবীন দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদার। এছাড়াও বক্তব্য দেন নবীন দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা।
/এমএইচএন/এসএসএইচ/